সংসদে পাশ হলো নির্বাচন কমিশন গঠন আইন। বৃহস্পতিবার ২৭ জানুয়ারি, একাদশ জাতীয় সংসদের ষোড়শ অধিবেশনে কণ্ঠভোটে পাস হয় আইনটি। এর আগে সংসদে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২’ আইনটি পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। ফলে, বড় ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই জাতীয় সংসদে পাস হলো নির্বাচন কমিশন গঠন আইন।
এখন রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর গেজেট আকারে প্রকাশ হবে আইনটি। আর তা হলেই প্রথমবারের মত প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ হবে আইনের মাধ্যমে।
আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী হবেন এমন বিধান রাখা হয়েছে। সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। যা সংসদে উত্থাপিত বিলে ১০ কার্যদিবস ছিল।
প্রথমে বিলের নাম ছিল, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’। সংসদে সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণের মাধ্যমে এখন নাম হবে ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল’।
সার্চ কমিটিতে দুই জন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার প্রস্তাব দেন ওয়ার্কাস পার্টির রাশেদ খান মেনন। আইনমন্ত্রী সেই প্রস্তাব গ্রহণে সায় দিলে সংসদ তা ভোটে গ্রহণ করে। অর্থাৎ, ইসি গঠনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে নাম সুপারিশের জন্য যে সার্চ কমিটি থাকবে সেখানে একজন নারী থাকবেন।
বিলে বলা ছিল রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। আর সদস্য হিসেবে থাকবেন- প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। এখন রাষ্ট্রপতির মনোনীত ওই দুজন বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন নারী রাখার বিধান যুক্ত হয়েছে।
বিলে সার্চ কমিটির কাজ ১০ কার্যদিবস করার বিধান রাখা হয়েছিল। সেটি এখন ১৫ কার্যদিবস করা হয়েছে। জাতীয় পার্টির এমপি ফখরুল ইমামের এ সংক্রান্ত সংশোধনী সংসদ গ্রহণ করে।
এসএন/জুআসা/২০২২