বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


গণহত্যার বিচার-সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হবে অতীতের মতো পাতানো


প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:১২

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১১:২৫

ছবি সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামী গণহত্যার বিচার, রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার শেষে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি পূরণে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত না করে নির্বাচন জনগণ চায় না। যেটা জনগণ চায় না, সেটা জামায়াতে ইসলামীও চায় না। গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন দিলে সেই নির্বাচনও হবে অতিতের মতো পাতানো নির্বাচন।

রোববার (২০ এপ্রিল) রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর এলাকায় গণসংযোগ পক্ষের দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা শেষে সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

অন্তবর্তীকালীন সরকারের সদিচ্ছা থাকলে আগামী রমজানের আগেই গণহত্যার বিচার ও রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার শেষ করে জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে। ছাত্র-জনতার রক্তে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ নতুনভাবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, একাত্তরের সোনার বাংলা আজও গঠিত হয়নি, ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায়। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর যেমনিভাবে সোনার মদিনা গঠিত হয়েছে, একইভাবে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেই সোনার বাংলাদেশ গঠিত হবে।

সোনার বাংলা গঠনের এখনই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন করতে হলে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণের বিকল্প নেই। ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে আগামী নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে সমর্থন দিতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

জামায়াতে ইসলামী রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জাতিকে শোষণমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়া হবে উল্লেখ করে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও জনগণ শোষণের হাত থেকে মুক্তি পায়নি। এই জাতি ১৯৪৭ সাল থেকে শোষণের হাত থেকে মুক্তির লড়াই করলেও শোষণের হাত থেকে মুক্ত হতে পারেনি। স্বাধীন দেশের জনগণ নিজ দেশের স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকার কর্তৃক শোষণের শিকার হয়েছে। অতীতে যত সরকার ক্ষমতায় বসে সব সরকারই জনগণকে শোষণ করেছে। কারণ মানুষের তৈরি আইনে রাষ্ট্র পরিচালিত হওয়ায় জনগণকে শোষণের শিকার হতে হয়েছে। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে জনগণ শোষিত হবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিক দলমত, ধর্ম-বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠী নির্বিশেষে সমান অধিকার ও মর্যাদা লাভ করবে। তাই শোষণের হাত থেকে মুক্তি ও নাগরিক হিসেবে নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে তিনি শান্তিকামী জনতার প্রতি আহ্বান জানান।

এর আগে ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে যাত্রাবাড়ী-শ্যামপুর এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারী, রিকশা-ভ্যান চালক ও জনসাধারণের মাঝে জামায়াতে ইসলামীর দাওয়াতি উপকরণ বিতরণ করে স্থানীয় নেতারা।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top