মঙ্গলবার, ১৭ই জুন ২০২৫, ৩রা আষাঢ় ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


কোরআনের যে আয়াতে প্রথম জিহাদের আলোচনা করা হয়েছে


প্রকাশিত:
১৭ জুন ২০২৫ ১৪:৫১

আপডেট:
১৭ জুন ২০২৫ ১৯:১৪

ছবি সংগৃহীত

ইসলামের সূচনালগ্নে মক্কায় কাফের-মুশরিকদের নির্যাতনের শিকার হতেন মুসলিমরা। মদিনায় হিজরতের পর আল্লাহ তায়ালা মুসলিমদের শক্তিশালী করেন। এরপর কাফের-মুশরিক ও ইহুদিদের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রথমে জিহাদের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথমেই জিহাদ ফরজ করা হয়নি বরং শুধু অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإنَّ اللهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لقَدِيرٌ

যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে, কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। (সূরা হজ, আয়াত : ৩৯)।

বুখারি, মুসলিমে হজরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আববাস (রা.) থেকে বর্ণিত—

মহানবী (সা.) মক্কা হতে বের হলেন। আবু বকর (রা.) তখন বললেন, তারা তাদের নবীকে মক্কা থেকে তাড়িয়ে দিল। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তারা অবশ্যই ধ্বংস হবে। তখন আল্লাহ তায়ালা কোরআনের এই আয়াত নাযিল করেন-

أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَاتَلُونَ بأَنَّهُمْ ظُلِمُوا وَإنَّ اللهَ عَلَى نَصْرِهِمْ لقَدِيرٌ

যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে যাদের সাথে কাফেররা যুদ্ধ করে, কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ্ তাদেরকে সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। (সূরা হজ, আয়াত : ৩৯)

সসস্ত্র যুদ্ধের ব্যাপারে অবতীর্ণ এটিই কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত।

অতঃপর আল্লাহ তায়ালা ওই সমস্ত কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার আদেশ দিয়েছেন, যারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَقَاتِلُوا فِي سَبِيلِ اللهِ الَّذِينَ يُقَاتِلُونَكُمْ وَلا تَعْتَدُوا إِنَّ اللهَ لا يُحِبُّ الْمُعْتَدِينَ

যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে তোমরা আল্লাহর পথে তাদের সাথে যুদ্ধ কর, তবে সীমালংঘন করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সীমালংঘনকারীদের ভালোবাসেন না।। (সূরা বাকারা, আয়াত : ১৯০)

এর মাধ্যমে কাফেরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা ফরজ করে দেয়া হয়। হিজরতের পর জিহাদের অনুমতি দেয়া হয়। অতঃপর যে সমস্ত মুশরিক মুসলিমদের বিরুদ্ধে প্রথমে যুদ্ধ শুরু করবে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদেশ দেয়া হয়। এরপর সকল মুশরিকদের বিরুদ্ধেই জিহাদ করা ফরজ করে দেয়া হয়।

ইসলামি চিন্তাবিদদের কেউ বলেছেন- জিহাদ ফরজে আইন করা হয়েছে। আবার কেউ বলেছেন- ফরজে কিফায়া। এটিই প্রসিদ্ধ মত।

এ ব্যাপারে সঠিক কথা হল জিহাদ মূলত ফরজে আইন। তথা মুসলিম জাতির সবার উপর তা ফরজ। তবে তা কখনও হবে অন্তরের মাধ্যমে, কখনও জবানের মাধ্যমে, কখনও হাতের মাধ্যমে, আবার কখনও হবে সম্পদের মাধ্যমে।

প্রত্যেক মুসলিমকে উপরোক্ত চারটি জিহাদের কোন একটি অবশ্যই করতে হবে। আর আল্লাহর রাস্তায় জান দিয়ে জিহাদ করা ফরজে কিফায়া। মুসলিমদের কোন একটি দল এই প্রকারের জিহাদ করলে অন্যদের পক্ষ হতে ফরযিয়াত উঠে যাবে। কেউ না করলে সবাই গুনাগার হবে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top