রবিবার, ৩রা আগস্ট ২০২৫, ১৯শে শ্রাবণ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


ইমাম আস্তে তাকবির বললে করণীয়


প্রকাশিত:
২২ জুলাই ২০২৫ ১৮:৫৭

আপডেট:
৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৫

ছবি সংগৃহীত

জামাতের নামাজে ইমামের জন্য তাকবিরে তাহরিমা এবং অন্যান্য তাকবির জোরে বলা সুন্নত যাতে মুসল্লিরা তা শুনতে পায়। অত্যাধিক নিচু স্বরে তাকবীবির বলা সুন্নাহ পরিপন্থী, তাই জামাতে নামাজের সময় ইমামের জন্য অভ্যাস ও প্রয়োজন অনুসারে উচ্চস্বরে তাকবির বলা উচিত।

যেহেতু জোরে তাকবির বলা সুন্নত তাই আস্তে বললেও নামাজ হয়ে যাবে। সাহু সিজদা করার প্রয়োজন হবে না।

তাকবিরে উলার ফজিলত

তাকবিরে উলা বলা হয় জামাতে নামাজ আদায়ের সময় ইমামের প্রথম তাকবিরকে। হাদিসে তাকবিরে উলার সঙ্গে নামাজ আদায়ের বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। এক হাদিসে রাসূল সা. বলেছেন—

‘যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন জামাতে নামাজ আদায় করবে এবং সে প্রথম তাকবিরও পাবে— তার জন্য দুইটি মুক্তির পরওয়ানা লেখা হবে- (এক) জাহান্নাম থেকে মুক্তি; (দুই) নেফাক থেকে মুক্তি।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৪১)

বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-র একজন বদরি সাহাবিকে বলতে শুনেছি, তিনি তার ছেলেকে জিজ্ঞেস করেছেন, তুমি কি আমাদের সঙ্গে নামাজ পেয়েছে? ছেলে বললেন, জি, পেয়েছি। আবার জিজ্ঞেস করলেন, তাকবিরে উলা তথা ইমামের সঙ্গেই তাকবির পেয়েছ? ছেলে বললেন, না। তিনি বললেন, তুমি একশ কালো চোখ বিশিষ্ট উটের চেয়ে অধিক কল্যাণ হারিয়েছ। (মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক, হাদিস : ২০২১)

তাকবিরে উলার ফজিলত পেতে হলে ইমাম আবূ হানীফা রহ.- এর মতে ইমামের তাকবিরে তাহরিমার সাথে সাথেই মুক্তাদীর তাকবিরে তাহরিমা বলতে হবে।

তবে ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ রহ.- এর মতামত হলো যে, ইমামের তাকবিরে তাহরিমার পরও যদি মুক্তাদী শরীক হয় তবুও তাকবীরে উলার ফজিলত পাবে।

এসএন /সীমা


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top