সুরা নিসায় ঈমানদার হওয়ার যে শর্ত বর্ণিত হয়েছে
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:১০
আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪৬

ঈমানদার হওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা, নবী, আল্লাহর পক্ষ থেকে নবীরা মানুষের হেদায়েতের জন্য যে কিতাব এনেছেন তার ওপর এবং ফেরেশতাদের ওপর বিশ্বাস রাখা জরুরি। এই বিশ্বাস ছাড়া প্রকৃত মুমিন ও মুসলিম হওয়া সম্ভব নয়। কেউ এসব বিষয় অস্বীকার করলে তার জন্য হুঁশিয়ারী উচ্চাণ করা হয়েছে এবং এমন ব্যক্তি বিভ্রান্তি রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।
আল্লাহ তায়ালা এমন ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন—
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡۤا اٰمِنُوۡا بِاللّٰهِ وَ رَسُوۡلِهٖ وَ الۡكِتٰبِ الَّذِیۡ نَزَّلَ عَلٰی رَسُوۡلِهٖ وَ الۡكِتٰبِ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ مِنۡ قَبۡلُ ؕ وَ مَنۡ یَّكۡفُرۡ بِاللّٰهِ وَ مَلٰٓئِكَتِهٖ وَ كُتُبِهٖ وَ رُسُلِهٖ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلًۢا بَعِیۡدًا
হে মুমিনগণ, তোমরা ঈমান আনো আল্লাহর প্রতি, তার রাসূলের প্রতি এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি তার রাসূলের ওপর নাজিল করেছেন এবং সে কিতাবের প্রতি যা তিনি পূর্বে নাজিল করেছেন। আর যে আল্লাহ, তার ফেরেশতাগণ, তার কিতাবসমূহ, তার রাসূলগণ এবং শেষ দিনকে অস্বীকার করবে, সে ঘোর বিভ্রান্তিতে বিভ্রান্ত হবে। (সুরা আন নিসা, আয়াত : ১৩৬)
এই আয়াতে মুমিনদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, তারা যেন ঈমানের মধ্যে পূর্ণরূপে প্রবেশ করে। আল্লাহর সব ধরনের আদেশ ও নিষেধ, সব ধরনের শরীয়ত এবং ঈমানের শাখাকে যেন মেনে নেয়।
অর্থাৎ যদি তারা ঈমান এনে থাকে তবে তার উপরেই যেন প্রতিষ্ঠিত থাকে। যদি তারা আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করে থাকে তবে তিনি তাদেরকে আরও যত কিছুর উপর বিশ্বাস রাখতে বলেছেন ওই সব কিছুর উপর যেন বিশ্বাস রাখে।
আর কেউ আল্লাহকে, তার ফেরেশতাগণকে, তার কিতাবসমূহকে, তার রাসূলগণকে এবং পরকালকে অস্বীকার করেছে সে সুদূর বিপথে বিভ্রান্ত হয়েছে। অর্থাৎ হিদায়াতের পথ থেকে অনেক দূরে সরে পড়েছে। সুতরাং তাদের সুপথ প্রাপ্তির আশা সুদূর পরাহত।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: