রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সর্বমোট হতাহত হয়েছেন ১৪ লাখ সেনা
প্রকাশিত:
৪ জুন ২০২৫ ২১:২৮
আপডেট:
৬ জুন ২০২৫ ২০:১০

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সাড়ে তিন বছরে নিহত ও আহত হয়েছেন দুই দেশের প্রায় ১৪ লাখ সেনা। এদের মধ্যে মধ্যে রুশ সেনাদের সংখ্যা ১০ লাখ এবং ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা প্রায় ৪ লাখ।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিঙ্কট্যাংক সংস্থা স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ (সিএসআইএস) সাম্প্রতিক এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এ তথ্য। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রুশ বাহিনীর যে ১০ লাখ সেনা হতাহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় আড়াই লাখ সেনা। বাকিরা সবাই আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হতাহত ৪ লাখ সেনার মধ্যে নিহত হয়েছেন প্রায় ১ লাখ সেনা।
মিনস্ক চুক্তির শর্ত মেনে ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রুশ ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান সত্ত্বেও তা পালন না করা এবং যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য ইউক্রেনের তদ্বিরকে ঘিরে কয়েক বছর ধরে টানাপোড়েন চলার পর ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশটিতে অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। প্রেসিডেন্ট পুতিন নিজে এ অভিযান শুরুর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
অভিযান শুরুর আগে তিন মাস ধরে রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে অবস্থান নিয়েছিল রুশ সেনারা।
রাশিয়ার যে সামরিক শক্তি ও সক্ষমতা— তাতে হয়তো এক সপ্তাহের মধ্যেই ইউক্রেনের পতন ঘটতে পারত, কিন্তু রুশ বাহিনী সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র, ন্যাটো এবং ইউরোপ। তারা ইউক্রেনকে সমানে অর্থ ও অস্ত্র সহায়তাপ্রদান শুরু করে।
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ। সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সময় ইউক্রেনকে এক হাজার কোটি ডলারেরও বেশি অস্ত্র ও অর্থ সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের এই বিপুল সামরিক সহায়তা সত্ত্বেও গত সাড়ে তিন বছরের যুদ্ধে দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, ঝাপোরিজ্জিয়া ও খেরসন— ইউক্রেনের এই চার প্রদেশ দখল করেছে রাশিয়া, যা ইউক্রেনের মোট ভূখণ্ডের এক পঞ্চমাংশ। এই চার প্রদেশকে রাশিয়ার মানচিত্রেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর অবশ্য পরিস্থিতিতে বদল আসে। গত ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পর ইউক্রেনে সহায়তা প্রদান স্থগিত করেন তিনি। পাশাপাশি যুদ্ধ অবসানের জন্য তৎপরতাও শুরু করেন।
মূলত ট্রাম্প এবং তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের আন্তরিক প্রচেষ্টাতেই বর্তমানে ইস্তাম্বুলে শান্তি সংলাপ শুরু করেছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের সরকারি প্রতিনিধিরা।
সূত্র : ফার্স্টপোস্ট
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: