হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দিলো ইরানের পার্লামেন্ট
প্রকাশিত:
২২ জুন ২০২৫ ২২:০০
আপডেট:
২৩ জুন ২০২৫ ০১:০৭

পারমাণবিক স্থাপনার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর ইরানের পার্লামেন্টে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবে বিশ্ব বাণিজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালী বন্ধের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাসের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ববাজারে মোট তেল ও গ্যাস সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশই পরিবহন করা হয় ইরানের উপকূল লাগোয়া বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালী দিয়ে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ প্রধান তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো এই পথ ব্যবহার করে উন্মুক্ত সমুদ্রে পৌঁছায়।
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বৈশ্বিক জ্বালানির যোগান ব্যাহত হতে পারে। আর এর প্রভাব পড়বে বিশ্ববাজারে। ফলে তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া সাময়িকভাবে হলেও মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলোর পারস্য উপসাগর থেকে বের হওয়া কঠিন হতে পারে।
রোববার বিকেলের দিকে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে পাস হওয়া প্রস্তাব বাস্তবায়ন হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা পরিষদ।
ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কমান্ডার ইসমাইল কোসারি দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়াং জার্নালিস্ট ক্লাবকে বলেছেন, হরমুজ প্রণালী বন্ধের বিষয়টি আমাদের অ্যাজেন্ডায় রয়েছে এবং প্রয়োজন হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ অভিযানে পর তেহরান হরমুজ প্রণালী বন্ধের এই প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ইরানের বিরুদ্ধে চালানো এই অভিযানের বিষয়ে মার্কিন সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা জেনারেল ড্যান কেইন বলেছেন, অভিযানে ইরানের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি পারমাণবিক স্থাপনাকে ‘‘ব্যাপকভাবে ধ্বংস’’ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই অভিযানে মার্কিন বাহিনী পুরো সময়জুড়েই গোপনীয়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল এবং মার্কিন স্টিলথ বোমারু বিমান লক্ষ্য করে একটি গুলিও ছুড়তে পারেনি ইরান।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: