বিদ্যুৎ চমকানোর সময় কেন গোসল করা উচিত নয়?
প্রকাশিত:
২৭ মে ২০২৫ ১৬:০৯
আপডেট:
২৮ মে ২০২৫ ২২:১৪

আবহাওয়া এখন বেখায়ালি। কখনো রোদ আবার কখনো বৃষ্টি। আর ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে রয়েছে সংযোগ রয়েছে বজ্রপাতের। বিদ্যুৎ চমকালে বেশ কিছু কাজ থেকে দূরে থাকতে বলা হয়। বিশেষ করে বাড়ি থেকে বের হতে মানা করা হয়, খোলা হাওরে না থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়। কিন্তু বিদ্যুৎ চমকানোর সময় গোসল না করার কথা ভেবেছেন কখনো?
ভাবেননি নিশ্চয়ই। আসলে বাজ পড়লে যে বাথরুমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে তা হয়তো মাথাতেই আসেনি। বৈজ্ঞানিক যুক্তি মানলে এমনটা ঘটা কিন্তু অস্বাভাবিক নয়। বেশ কয়েকটি কারণে বিদ্যুৎ চমকানোর সময় গোসল করা উচিত নয়। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই-
১. পানির পাইপ দিয়ে বিদ্যুৎ বাহিত হতে পারে
বাড়িতে বাজ পড়লে বিদ্যুৎ বৈদ্যুতিক তার বাহিত হয়ে যেমন আসতে পারে, তেমনি পানির পাইপের ভেতর দিয়েও বাহিত হতে পারে। এক্ষেত্রে সেসময়ে কেউ পানির নিচে দাঁড়িয়ে গোসল করেন তাহলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
২. বৈদ্যুতিক শক্তি ছড়িয়ে পড়ার হার
বাজ পড়লে বৈদ্যুতিক শক্তি এক সেকেন্ডেরও কম সময়ে ৩৬০ ডিগ্রি ছড়িয়ে পড়ে। ভালভাবে তৈরি বাড়িতে এই শক্তিকে নিরাপদে মাটিতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। এই ব্যবস্থা না থাকলে ঝুঁকি থেকেই যায়।
৩. কলের পাইপ যখন বাহক
বজ্রপাতের শক্তি সব সময়েই মাটি পর্যন্ত পৌঁছতে চায়। এক্ষেত্রে ধাতব কলের পাইপ বাহকের ভূমিকা নিতে পারে। পাইপ প্লাস্টিকের বা ফাইবারের হলে ঝুঁকি কিছুটা কমে।
৪. পানিও হতে পারে আধার
পানিও বিদ্যুতের শক্তি বহন করতে পারে। তাই ধাতব পাইপ বাহিত বিদ্যুৎ মাটিতে পৌঁছানোর জন্য পানিকেও আধার বানাতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি কেউ বাথরুমে শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে থাকেন, এমনকি পানি বা ধাতব পাইপের হাতও দেন, তাহলে বিদ্যুৎ তার শরীরের ভেতর দিয়ে যেতে পারে।
৫. এসব দিকেও খেয়াল রাখতে হবে
এই ঝুঁকি কেবল গোসলের ক্ষেত্রে নয়, ধাতব পাইপ বাহিত যেকোনো পানি থেকেই হতে পারে। তাই বাইরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হলে পাইপ বাহিত পানি থেকে দূরে থাকুন। সেসময়ে বাসন মাজা, কাপড় কাচা বা হাত ধোয়ার মতো কাজও না করাই মঙ্গল।
এমন ঘটনা মোটেও বিরল নয়। বহু মানুষ ঝড়বৃষ্টির সময়ে গোসল করতে গিয়ে বিদ্যুতের ‘ঝটকা’ খেয়েছেন। মৃত্যু না হলেও এটি স্বাস্থ্যের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: