ভোটের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা ঘোষণা হতে পারে আজ
প্রকাশিত:
৫ আগস্ট ২০২৫ ১৬:১২
আপডেট:
৫ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৪২

জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাত ৮টা ২০ মিনিটে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এর আগে বিকালে তিনি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন।
আজই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমার ঘোষণা আসতে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
সূত্রটি বলছে—আগামী রমজানের আগেই সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা। সে হিসাবে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ভোট হতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র বলছে। যদিও এগুলো সবই সম্ভাবনা।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবসে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে বিকাল ৫টায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের প্রতিনিধি ও আহত যোদ্ধাদের উপস্থিতিতে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পাশাপাশি, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
এরপর রাতেই প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন বলে সরকারের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ভাষণে সরকারের এক বছরের কর্মকাণ্ড, বিচার ও সংস্কারের উদ্যোগ বর্ণনার পাশাপাশি নির্বাচনের মাস ঘোষণা দিতে পারেন প্রধান উপদেষ্টা। ফেব্রুয়ারির ১৬ থেকে ১৭ তারিখ রোজা। রোজার সপ্তাহ খানেক আগে ভোট হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেন। এরপর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতি অথবা সরকারের বর্ষপূর্তি—এই দুদিনের যে কোনো দিন সরকার প্রধানের জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল। প্রথমে ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ এবং ৮ আগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণের পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু প্রধান উপদেষ্টা সরকার গঠনের দিনটিকে গুরুত্ব দিতে চান না, তাই ৫ আগস্টই ভাষণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
গত ২৮ জুলাই যমুনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্বাচনি প্রস্তুতি সংক্রান্ত বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরদারে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর তাগিদ দেন। এর আগে ৯ জুলাইও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন সরকার প্রধান।
গত জুনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস লন্ডন সফরে যান। সেখানে ১৩ জুন তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালের রমজান শুরুর আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জনের প্রয়োজন হবে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: