স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণে ব্যয় বাড়লো ১৭ কোটি টাকা
প্রকাশিত:
৬ আগস্ট ২০২৫ ১৮:১২
আপডেট:
৬ আগস্ট ২০২৫ ২০:২৭

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ঢাকার মিরপুরে ১৬ নম্বর সেকশনে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের ব্যয় ১৭ কোটি ৩৪ লাখ ৫১ হাজার ৮৫৭ টাকা বাড়িয়েছে সরকার।
বুধবার (৬ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই ব্যয় বাড়ানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মিরপুরে ১৬ নম্বর সেকশনে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহ সূচনা)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-২ এর ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে প্রকল্পের প্যাকেজ নং-২ (ভবন-২ ও ৩)-এর নির্মাণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এম জামাল অ্যান্ড কোং এবং পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লি. (জেভি) এর কাছ থেকে ৯৫ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ৩৩৫ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত বা টেন্ডার বহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮ কোটি ৪৯ লাখ ৩৮ হাজার ৫৫৬ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ১০৩ কোটি ৭৩ লাখ ৯৮ হাজার ৮৯২ টাকা।
বৈঠকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মিরপুরের স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের কাছে বিক্রির জন্য আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ (গৃহ সূচনা)’ প্রকল্পের প্যাকেজ নং-৩ এর ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনে প্রকল্পের প্যাকেজ নং-৩ (ভবন-৪ ও ৫)-এর নির্মাণ কাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমসিএল এবং এইচএসএল (জেভি) এর কাছ থেকে ৯৪ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ২০ টাকায় ক্রয়ের চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুসারে নির্মাণ কাজ চলমান অবস্থায় টেন্ডারভুক্ত বা টেন্ডার বহির্ভূত কিছু আইটেম হ্রাস বা বৃদ্ধি হওয়ায় ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৩০১ টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে সংশোধিত চুক্তিমূল্য বেড়ে হয়েছে ১০৩ কোটি ৩২ লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ টাকা।
এদিকে বৈঠকে ‘জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল উন্নয়ন প্রকল্প’-এর ভূমি উন্নয়নের পূর্ত কাজের ক্রয়ের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৪ দরপ্রস্তাবই কারিগরি ও আর্থিকভাবে রেসপনসিভ বিবেচিত হয়। দরপত্রের সকল প্রক্রিয়া শেষে টিইসির সুপারিশে রেসপনসিভ সর্বোচ্চ স্কোর অর্জনকারী দরদাতা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড, ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: