উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা, সিটি কর্পোরেশনের হাটের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়া এবং গরুর হাটের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর প্রতিবাদের পরও বনশ্রী এলাকার মেরাদিয়ায় গরুর হাট বসানোর অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকাবাসী। তবে কোনোভাবেই বনশ্রীতে গরুর হাট বসতে দেবেন না তারা।
শনিবার (১৭ মে) বনশ্রীর এইচ ব্লকে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে এক মানববন্ধনে তারা বলেন, কোনোভাবেই বনশ্রীতে গরুর হাট না বসতে দেবো না। মানববন্ধনের আয়োজন করে বনশ্রীর সমমনা পরিষদ।
বক্তারা বলেন, একটি চক্র জোর করে বনশ্রী এলাকার মেরাদিয়ায় গরুর হাট বসানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। যত চেষ্টা আর হুমকি-ধামকি আসুক না কেন, বনশ্রীতে আর কোনো গরুর হাট বসতে দেওয়া হবে না। ঈদের দিন পর্যন্ত বনশ্রীবাসী রাজপথে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
মানববন্ধনে বনশ্রীর সমমনা পরিষদের সভাপতি শাহাবুদ্দিন শিকদার বলেন, বনশ্রীর মেরাদিয়া একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা। আদালতের নিষেধাজ্ঞা এবং সিটি কর্পোরেশনের হাট তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরেও গরুর হাট বসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। এই ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদেই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বাসার গ্যারেজ, এমনকি মূল ফটকের সামনেও হাট বসানো হয়। এতে মালিক-ভাড়াটিয়ারা বাসা থেকে বের হতে পারেন না। এলাকায় নোংরাভাব ছড়িয়ে পড়ে। ঈদের ১৫ দিন আগ থেকেই বিশৃঙ্খলা শুরু হয়।
বক্তারা বলেন, যারা হাট বসায় তারা বনশ্রী বা আফতাবনগরের কেউ নন। তারা আসে সবুজবাগ, বাড্ডা, খিলগাঁও থেকে আসে। কোনো রাজনৈতিক পরিচয় না থাকলেও তারা বড় দলের নেতাদের নাম ভাঙিয়ে ভয় দেখায়। আজ থেকে কোরবানির হাটের দিন পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। যদি আমাদের বাসার সামনে গরু আনা হয়, আমরা ঝাড়ু ও বাথরুম পরিষ্কারের ব্রাশ দিয়ে প্রতিরোধ করব। বনশ্রীর কেউ এই হাটে যুক্ত নয়। এই হাট বসিয়ে এলাকাকে অস্থিতিশীল করতে চায় কিছু দুষ্কৃতকারী।
বক্তারা আরো বলেন, উচ্চ আদালত আমাদের পক্ষে স্থিতাবস্থা জারি করেছেন। দুই সিটি কর্পোরেশন তাদের তালিকা থেকে মেরাদিয়ার নাম বাদ দিয়েছে। তাহলে এখন গরুর হাট বসবে কেন? প্রশাসনকে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, মানুষকে কষ্ট দিয়ে বনশ্রীতে কোনো গরুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।