এ মুহূর্তে আপনি সুখী দম্পতি। নতুন বিয়ে করেছেন, সবকিছুই নতুনত্বে সাজাতে প্রস্তুত। এর মধ্যেই সন্তান ধারণের পরিকল্পনাও করছেন।
সে জন্য আপনি লাইফস্টাইলও মেনে চলছেন। আর তেমনটি যদি করে থাকেন, সুষ্ঠু পরিকল্পনায় এগিয়ে যান, তবে দ্রুত গর্ভধারণ ও অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোনো সমস্যার মুখে পড়তে হবে না আপনাকে।
আবার প্রেগন্যান্সির প্ল্যান করার আগে আজকাল অনেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাকেন। কী ধরনের লাইফস্টাইলে গর্ভধারণ করা যাবে। কোনো সমস্যার মুখে পড়তে হবে কিনা। বিশেষ করে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল— এমন নানা বিষয় গর্ভধারণের পথে বাধার মুখে পড়তে হবে কিনা—এসবই।
এসব দুশ্চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন আপনি। সে জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে নিরাপদে কোনো সমস্যা ছাড়াই গর্ভধারণ ও অন্তঃসত্ত্বা থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন।
সন্তান ধারণের পরিকল্পনার শুরুতেই আপনাদের দুজনকেই (পুরুষ-নারী) চা ও কফি খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। উচ্চমাত্রায় ক্যাফেইন গ্রহণ করলে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যত্বের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সময় থাকতে দুজনেই চা-কফির পরিমাণ কমিয়ে দিন।
আর পিসিওসি থাকলে ফাস্টফুড থেকে অনেক দূরে থাকুন। কারণ প্রেগন্যান্সির প্ল্যান করলে ফাস্টফুড খাওয়া চলবে না। চাউমিন, রোল, বার্গার, পিৎজার মতো ট্র্যান্স ফ্যাট রয়েছে এমন খাবার পুরুষ ও নারী উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই ক্ষতি হয়। এগুলো শুধু ওজন বাড়ায় না, নারীর গর্ভধারণ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়।
সেই সঙ্গে চিনি থেকে দূরে থাকুন। চিনি কিংবা কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমিয়ে দেয় এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। পুরুষ বা নারী, যারই ডায়াবেটিস থাকুক না কেন, এর জেরে সন্তান ধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
এ ছাড়া কেক, ডোনাট, পেস্ট্রির মতো খাবারে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এগুলো বেশি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যায়। এর চেয়ে ডায়েটে হেলদি ফ্যাট রয়েছে, এমন কিছু খাবার খান।
আবার রেড মিট ও প্রসেসড মিটও এড়িয়ে চলুন। প্রাণিজ খাবার বেশি খেলে পুরুষ ও নারীর মধ্যে ইনফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে কারণে গর্ভধারণ সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই মাটন ও প্রক্রিয়াজাত মাংস এড়িয়ে চলাই ভালো।