বিশ্বাসীরা মানুষকে আল্লাহর ওপর ঈমান এবং সঠিক পথে চলার আহ্বান জানান। অবিশ্বাসীরা মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করেন। অদৃশ্যের প্রতি মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভিত্তিতেই পরকালে জান্নাত ও জাহান্নাম মিলবে।
জাহান্নামে যাওয়ার পর অবিশ্বাসীরা অবর্ণনীয় শাস্তি ভোগ করবে। সেখান থেকে মুক্তির কোনো উপায় থাকবে না তাদের। বিপরীতে বিশ্বাসীরা থাকবে চিরস্থায়ী সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা ঘুরে বেড়াবেন জান্নাতে। জান্নাতে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরস্পরের মাঝে খোশগল্প, আলাপ আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করবে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখার কারণে অবিশ্বাসীরা তাদের যে ঠাট্টাবিদ্রূপ করতো নিয়েও তারা কথা বলবে।
জান্নাতীরা পরস্পদরের মাঝে বলবে— আমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপনের কারণে অবিশ্বাসীরা আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করতো এবং মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করে তারা বলতো, আমরা হাড়ে পরিণত হওয়ার পরও কীভাবে আবার জীবিত হবো? এটাও কি সম্ভব? তোমরা কত বোকা!
তখন জান্নাতিরা পরস্পরকে বলবো, চলো জাহান্নামে গিয়ে পৃথিবীর সেই অবিশ্বাসীদের অবস্থা উঁকি দিয়ে দেখি। এরপর তারা তাকে দেখতে যাবে এবং দেখবে, সে জাহান্নামের মধ্যস্থলে শাস্তি ভোগ করছে। তখন তারা তাকে বলবে—
তুমি আমাদেরকে পৃথিবীতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে আমরা সঠিক পথে অবিচল ছিলাম। এখন আমরা চিরস্থায়ীভাবে
উঁকি দিতেই তারা ঐ ব্যক্তিকে জাহান্নামের মাঝে দেখতে পাবে এবং তাকে ঐ জান্নাতী ব্যক্তি বলবে, তুমি আমাকেও পথভ্রষ্ট করে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে চেয়েছিলে, আমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ছিলাম, তা না হলে আজ আমারাও তোমার সাথে জাহান্নামবাসী হতাম। এটা আমাদের ওপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও আমাদের জন্য মহা সাফল্য। (সুরা সাফফাত, আয়াত : ৫০-৬০)