স্তনে হঠাৎ কোনো গোটা, শক্ত পিণ্ড বা ফোলাভাব অনুভব করলে বেশিরভাগ মানুষের মনে প্রথমেই ক্যান্সারের ভয় জাগে। যদিও ব্রেস্ট ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ হতে পারে এই ধরনের পিণ্ড, কিন্তু সব ক্ষেত্রেই তা ক্যান্সারজনিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, অনেক সময় ব্রেস্ট লাম্পস হয় হরমোনের পরিবর্তন, সিস্ট, ফাইব্রোএডেনোমা কিংবা সংক্রমণের কারণে, যা সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসাযোগ্য।
চিকিৎসকরা বলেন, ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে মাসিক চক্রের নির্দিষ্ট সময়ে হরমোনজনিত কারণে স্তনে অস্থায়ীভাবে ব্যথা হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাধারণত পিণ্ড নরম হয়, স্থান পরিবর্তন করে এবং মাসিক শেষে মিলিয়ে যায়।
তবে এমন হলে উপেক্ষা করা উচিত নয়। যেকোনো নতুন বা অস্বাভাবিক পিণ্ড, আকার বা টেক্সচারের পরিবর্তন, নিপল থেকে স্রাব, ত্বকে র্যাশ বা লালচে ভাব দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নিজে থেকে সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোই ভালো। ব্রেস্ট আল্ট্রাসনোগ্রাফি, ম্যামোগ্রাম বা বায়োপসির মাধ্যমে নির্ভুলভাবে বোঝা যায় পিণ্ডটি ক্যান্সারজনিত কি-না। প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত হলে ব্রেস্ট ক্যান্সারও সফলভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব।
সতর্ক সংকেত
পিণ্ড শক্ত এবং নড়াচড়া না করলে
নিপল থেকে রক্ত বা অস্বাভাবিক স্রাব
ত্বকের রং বা গঠনে পরিবর্তন
বগলের নিচে লসিকা গ্রন্থি ফোলা
সর্বোপরি, ব্রেস্ট লাম্পস মানেই আতঙ্ক নয়- কিন্তু সচেতনতা এবং দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা আপনাকে বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে।