কয়েক বছর ধরে দেশের বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে। মূলত স্বাস্থ্যসচেতনদের কাছে একটি জনপ্রিয় ফল। এর অনন্য স্বাদ, আকর্ষণীয় রং এবং ভরপুর পুষ্টিগুণের কারণে অনেকেই প্রতিদিনের ডায়েটে এটি রাখেন। তবে এর অসংখ্য উপকারিতা থাকলেও কিছু মানুষের জন্য এটি ক্ষতিকরও হতে পারে। তাই এই ফলের উপকারিতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দুটিই জানা জরুরি।
ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এই উপাদানগুলো— শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, রক্তাল্পতা কমাতে সাহায্য করে (আয়রনের কারণে), হজমের সমস্যা দূর করে (ফাইবারের কারণে), ত্বক ও চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে, শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে, তারা খালি পেটে ড্রাগন ফল না খাওয়াই ভালো। এতে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়া বা অস্বস্তি হতে পারে। যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ড্রাগন ফল খাওয়া উচিত নয়। গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মায়েদের নিয়মিত খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব বা অ্যালার্জির মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতিদিন আধা মাঝারি আকারের ড্রাগন ফল (প্রায় ১০০-১৫০ গ্রাম) যথেষ্ট। শিশুদের জন্য ৫০-৭৫ গ্রাম পর্যন্ত খাওয়া নিরাপদ। যারা হজমে সমস্যা অনুভব করেন, তারা এটি দই বা অন্যান্য ফলের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। পর্যাপ্ত জল না খেলে অতিরিক্ত ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে, তাই ড্রাগন ফল খাওয়ার সময় জলপান জরুরি।
একনজরে ড্রাগন ফল খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন
এই ফল শরীরে শক্তি জোগায়, এটা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, ত্বককে উজ্জ্বল রাখে, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সহায়ক হতে পারে এই ফল। ফলে, অ্যান্টি-এজিং প্রভাব।
ড্রাগন ফল নিঃসন্দেহে একটি সুপারফ্রুট, তবে ‘অতিরিক্ত সবই ক্ষতিকর’, এই নিয়ম এখানে প্রযোজ্য। যারা কিডনির সমস্যা বা হজমজনিত সমস্যায় ভুগছেন, তাদের বিশেষ সতর্ক হয়ে এই ফল খেতে হবে। প্রতিদিন নির্দিষ্ট মাত্রায় খেলে এটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা।
এসএন/রুপা