আপনি কি জানেন মশার কামড়ের স্থানে চুলকালে চুলকানি আরও বেড়ে যায়। এর সংগত কারণ ‘মশার কামড়ের স্থানে চুলকালে হিস্টামিন নিঃসরিত হয়, যার ফলে আরও বেশি চুলকায়।ওখানে ফুলেও যায় এবং নিরাময় বিলম্বিত হয়।'
তাহলে চলুন তাহলে জেনে নেই এর পরিস্থিতি থেকে বাচাঁর উপায়-
১. মশার কামড়ের স্থানে চুলকালে চুলকানি উপশম করতে ক্যালামাইন লোশন বা অন্যান্য চুলকানির ক্রিম প্রয়োগ করতে পারেন। জার্মানির ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ডার্মাফার্মের মেডিসিন অ্যান্ড সায়েন্সেসের প্রধান টিম মেন্টেল বলেন, ‘অধিকাংশ চুলকানির লোশন ও ক্রিম শীতলদায়ক অনুভূতি তৈরি করে যা সাময়িকের জন্য চুলকানি ও অস্বস্তি দূর করে। তাই ফোলা ও চুলকানি কমাতে হাইড্রোকরটিসোন ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন, তবে ত্বকে ক্ষত থাকলে এটা ব্যবহার করা উচিত নয়।’
২. অ্যান্টিহিস্টামিন ক্রিম ব্যবহার করতে না চাইলে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন। তবে পোকামাকড় জনিত চুলকানিতে ক্রিমই তুলনামূলক ভালো কাজ করে এবং এতে ঘুমাচ্ছন্নতার মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। ট্যাবলেট সেবন করলে ঘুমে আচ্ছন্ন হতে পারেন।
৩. মশার কামড়ের স্থানে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিলে চুলকানিকে উপেক্ষা করা সহজ হয়। মূলত গরম বা ঠান্ডা সেঁকে যে অনুভূতি পাওয়া যায় তা চুলকানি থেকে মনকে সরিয়ে ফেলে, যার ফলে চুলকানির প্রবণতা কমে আসে।