মাসবুক মুসল্লি কি সানা পড়বেন?
প্রকাশিত:
২১ জুন ২০২৫ ১২:৫৩
আপডেট:
২১ জুন ২০২৫ ১৭:০৭

মসজিদে জামাতে নামাজ পড়তে এসে যে মুসল্লি ইমামের সঙ্গে শুরু থেকে নামাজ পায়নি বরং নামাজের কিছু অংশ পেয়েছে, তাকে মাসবুক বলে।
মাসবুক মুসল্লিরা ছুটে যাওয়া নামাজ ইমামের সালাম ফিরানোর পর পড়ে নেবে। তারা তাদের ছুটে যাওয়া নামাজ যথারীতি কিরাতসহ আদায় করবে এবং এতে ভুল হলে সাহু সিদজাও করতে হবে।
মাসবুক মুসল্লি যেহেতু ইমামের সঙ্গে পুরো নামাজ পাননি, তাই তিনি প্রথম রাকাতে সানা পড়ার সুযোগ পাননি। ইমামের সঙ্গে নামাজ শেষে তিনি যখন বাকি নামাজ নিজে নিজে পড়ার জন্য দাঁড়াবেন, তখন মাসবুক সানা থেকে শুরু করাই উত্তম। অবশ্য সূরা ফাতেহা থেকে শুরু করলেও নামাজ হয়ে যাবে।
ফরজ নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করা ওয়াজিব। আল্লাহ বলেন, ‘রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কোরো।’ (সুরা : বাকারা, আতায়: ৪৩)
পবিত্র কোরআনের আয়াত থেকে জামাতে নামাজ পড়ার গুরুত্ব জানা যায়। মহান আল্লাহ বলেন—
‘এবং (হে নবী,) আপনি যখন তাদের মধ্যে উপস্থিত থাকেন ও তাদের নামাজ পড়ান, তখন (শত্রুর সঙ্গে মোকাবেলার সময় তার নিয়ম এই যে) মুসলিমদের একটি দল আপনার সঙ্গে দাঁড়াবে এবং নিজেদের অস্ত্র সঙ্গে রাখবে। অতঃপর তারা যখন সিজদা করে নেবে, তখন তারা তোমাদের পেছনে চলে যাবে এবং অন্য দল, যারা এখনো নামাজ পড়েনি, সামনে এসে যাবে এবং তারা আপনার সঙ্গে নামাজ পড়বে। তারাও নিজেদের আত্মরক্ষার উপকরণ ও অস্ত্র সঙ্গে রাখবে।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১০২)।
যুদ্ধের মতো কঠিন পরস্থিতিতেও আল্লাহ বলছেন জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়ার জন্য।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘আজান দেওয়া এবং প্রথম কাতারে দাঁড়ানোর মধ্যে যে কী মর্যাদা আছে তা যদি মানুষ জানতে পারত, তাহলে তা পাওয়ার জন্য তারা প্রয়োজনবোধে লটারি করত। দুপুরের নামাজের যে মর্যাদা আছে তা যদি তারা জানতে পারত, তাহলে তারা এটা লাভ করার জন্য প্রতিযোগিতায় লেগে যেত। এশা ও ফজরের নামাজের মধ্যে যে (তাদের জন্য) কী মর্যাদা রয়েছে, তা যদি জানতে পারত, তাহলে তারা হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও এসে নামাজে উপস্থিত হতো।’ (মুসলিম, হাদিস : ৮৬৭)
জামাতে নামাজ আদায়ের ফজিলত সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন, ‘জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া একাকী নামাজ পড়ার চেয়ে ২৭ গুণ বেশি মর্যাদার।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৫, মুসলিম, হাদিস : ৬৪০)
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: