মৃত্যুশয্যায়ও বিশ্বকাপ ফাইনালের যে স্মৃতি মনে পড়বে কামিন্সের
প্রকাশিত:
২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১০:৪৫
আপডেট:
২৯ এপ্রিল ২০২৫ ০৯:৫৬

‘যে কোনো খেলায়ই স্টেডিয়াম ভর্তি জনতাকে স্তব্ধ করে দেয়ার মত তৃপ্তি আর কোনো কিছুতেই পাওয়া যায় না। আমরা এই তৃপ্তিটাই পেতে চাই।’
ভারতের বিপক্ষে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে নামার আগে এই লক্ষ্যের কথাই জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। পাঁচ বারের বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়কের যেমন কথা তেমন কাজ। লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন তিনি ও তার দল। যার ফলে প্রায় লাখো দর্শকের উল্লাসে-উচ্ছাসে ফেটে পড়া নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বিশ্বকাপ ফাইনালের দিন শোকে স্তব্ধ হয়েছিল, অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক পেয়েছিলেন নিজের কাঙ্ক্ষিত নীরবতা।
গত ১৯ নভেম্বর ভারত-অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের আগের দিন থেকেই ক্রিকেটপ্রেমী সমর্থকদের মাঝে কামিন্সের সেই কথা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর খেলা শুরুর পর যখন একে একে শুবমান গিল, রোহিত শর্মা, শ্রেয়াস আইয়্যাররা ফিরে যান তখন থেকেই অবাক বিস্ময়ে কামিন্সের কথা ভাবতে শুরু করে দর্শকরা।
অজি অধিনায়ক যেমনটা চেয়েছিলেন তেমনটাই যে হচ্ছে। নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে তখন অবাক করা নীরবতা। শেষ পর্যন্ত সেই নীরবতা আর ভাঙতে পারেননি রোহিতরা। এদিকের সেদিনের একটি সময়ের ঘটনাই কামিন্সের মনে বিশেষ এক জায়গা নিয়ে আছে। সে সম্পর্কেই তিনি জানিয়েছেন অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম দ্যা এইজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে।
কামিন্সকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ৭০ বছর বয়সে যখন মৃত্যুশয্যায় শুয়ে থাকবেন তিনি, তখন ফাইনালের কোন ঘটনাটির কথা মনে পড়বে তার। এমন প্রশ্নের জবাবে অজি অধিনায়ক জানিয়েছেন এমন এক মুহূর্তের কথা যার ভিডিও ফুটেজ ফাইনালের দিনই ছড়িয়ে পড়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। সেই মুহূর্তের নীরবতাকে গ্রন্থাগারের ভেতরে যেমন এক নীরব অবস্থা থাকে তার সাথে তুলনাও করেছেন কামিন্স।
অজি অধিনায়কেরই করা এক শর্ট বল ঠেকাতে গিয়ে সেদিন আউট হন বিরাট কোহলি। সেই উইকেটের কথাই স্মরণ করিয়ে দিয়ে কামিন্স বলেন, ‘উইকেটটা পেয়ে আমি খুবই উৎফুল্ল ছিলাম। তারপর সবাই যখন গোল হয়ে দাঁড়ালাম, স্টিভেন স্মিথ বলল, “এসো, সবাই এক সেকেন্ড দর্শকদের শব্দ শুনি।” মুহূর্তের জন্য আমরা চুপ করে গেলাম। মনে হলো গ্রন্থাগারের নীরবতার মধ্যে আছি। চারপাশে হাজার হাজার ভারতীয় দর্শক। কিন্তু একেবারে নিস্তব্ধ। এই মুহূর্তের স্বাদটা আমি অনেক দিন অনুভব করব।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: