মসজিদে সংক্ষিপ্তাকারে জামাত চলবে: ইসলামিক ফাউন্ডেশন
প্রকাশিত:
৩১ মার্চ ২০২০ ০২:০২
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২০ ০২:০৩

দেশের সব মসজিদে নিয়মিত আজান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে তা হবে সংক্ষিত আকারে।বিশিষ্ট আলেম ও মুফতিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
আজ সোমবার (৩০ মার্চ) আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ইফা।
ইফার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মসজিদে নিয়মিত আজান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে। ৮ ধরনের মুসল্লিদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইফা। সেগুলো হলো:
১. যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
২. যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে।
৩. যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন।
৪. যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গেছেন।
৫. যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত।
৬. বয়োবৃদ্ধ, দুর্বল, মহিলা ও শিশু।
৭. যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত।
৮. যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাদেরও মসজিদে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইফার পক্ষ থেকে আরও বলেছে, যারা জুমা ও জামাতে যাবেন তারা সকলেই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। ওজু করে নিজ নিজ ঘরে সুন্নত ও নফল আদায় করবেন। শুধু জামাতের সময় মসজিদে যাবেন এবং ফরজ নামাজ শেষে দ্রুত ঘরে চলে আসবেন।
মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটিকেও করণীয় সম্পর্কে ৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পরামর্শগুলো হলো:
১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কার্পেট-কাপড় সরিয়ে ফেলা।
২. জামাত সংক্ষিপ্ত করা।
৩. জুমার বয়ান, খুতবা ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা।
৪. বর্তমান সংকটকালে দরসে হাদিস, তাফসির ও তালিম স্থগিত রাখা।
৫. ওজুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখা।
৬. বর্তমান পরিস্থিতিতে জামাতের কাতারে ফাঁক ফাঁক হয়ে দাঁড়ানো।
৭. ইশরাক, তিলাওয়াত, জিকির ও অন্যান্য আমল ঘরে করা।
৮. ঢাকাসহ দেশের কোনও মসজিদে যদি কোনও বিদেশি অবস্থান করেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে সত্ত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।
করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফন-কাফন ও জানাযার ব্যাপারে বলা হয়, হাদিসের বর্ণনানুযায়ী মহামারিতে মৃত মুমিন ব্যক্তি শহীদের মর্যাদা লাভ করেন। করোনায় মৃত ব্যক্তির কাফন, জানাযা ও দাফন যথাযথ মর্যাদার সাথে করা জরুরি। করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে সহযোগিতা করুন। তাদের প্রতি বিরূপ মনোভাব প্রকাশ বা কোনরূপ অসহযোগিতা করা শরীয়তবিরোধী ও অমানবিক।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: