বৃহঃস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১


শরীরের যে দুই অঙ্গের বিষয়ে সাবধান থাকতে বলেছেন রাসূল সা.


প্রকাশিত:
৩০ জুলাই ২০২৪ ১০:২০

আপডেট:
১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:৫০

প্রতিকী ছবি

অসংযত কাজ ও যাচ্ছেতাই আচরণের কারণে অনেক সময় মানুষকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। অবিবেচকের মতো কিছু করে বসলে অনেকে সময় একারণে বড় ধরণের লোকসান বা মাসুল দিতে হয়। তাই যেকোনো কাজ করার আগে ভেবেচিন্তে করা উচিত।

আল্লাহর রাসূল সা.ও মানুষকে ভেবেচিন্তে, ধীরস্থীরভাবে কাজ করতে বলেছেন। কোনো কাজে তাড়াহুড়া করতে নিষেধ করেছেন। হাদিসে তাড়াহুড়াকে শয়তানের কাজ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

মানুষকে লজ্জায় পড়তে হয়, বিপদ-বিতর্কের মতো পরিস্থিতি তৈরি করে এমন কাজ থেকেও বিরত থাকতে বলেছেন আল্লাহর রাসূল সা.। এমন কাজ থেকেও সাবধান করেছেন। এক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রা. বলেন—

রাসূলুল্লাহ সা.-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জান্নাতে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, আল্লাহভীতি, সদাচার ও উত্তম চরিত্র। আবার তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, কোন কাজটি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ মানুষকে জাহান্নামে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, মুখ ও লজ্জাস্থান। (তিরমিজি, হাদিস : ২০০৪)

অন্য হাদিসে সাহাল ইবনে সাদ রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি তার দুই চোয়ালের মাঝের বস্তু (জিহ্বা) এবং দুই উরুর মাঝখানের বস্তুর (লজ্জাস্থান) জামানত আমাকে দেবে, আমি তাঁর জান্নাতের জিম্মাদার। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৭৪)

বর্ণিত হাদিসগুলোতে রাসূল সা. দুটি অঙ্গের ব্যাপারে তাঁর প্রিয় উম্মতদের সতর্ক করেছেন। এবং যে অঙ্গগুলো দ্বারা গুনাহ সংঘটিত হয়, এগুলো তার অন্যতম বলে নির্ণয় করেছেন।

যেমন বেশির ভাগ গুনাহ মুখের দ্বারা সংঘটিত হয়। মিথ্যা বলা, গিবত করা, গালি দেওয়া, ধমক দেওয়া, হারাম খাওয়ার অন্যতম মাধ্যম হলো এই অঙ্গ। আর লজ্জাস্থান মানুষকে জেনা-ব্যভিচারের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত করে। তাই আল্লাহর রাসূল সা. এসব থেকে বিরত থাকতে বলেছেন।


সম্পর্কিত বিষয়:

শরীর ধর্ম উত্তম চরিত্র

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top