সূরা কদর নাজিল হয়েছে যে কারণে
প্রকাশিত:
২৭ মার্চ ২০২৫ ১৫:২৪
আপডেট:
৩১ মার্চ ২০২৫ ০৩:২৪

লাইলাতুল কদর বা শবে কদর ফজিলতপূর্ণ রাত। আল্লাহ তায়ালা এই রাত সম্পর্কে বলেন, কদরের রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। (সূরা আল-কদর, আয়াত : ৩)
হাজার মাস! যার মানে প্রায় ৮৩ বছর ৪ মাস। অর্থাৎ এই এক রাতের ইবাদত, দোয়া, কান্নাকাটি ও রবের দরবারে তাওবার মূল্য এতটাই বেশি, যা একজন পূর্ণজীবনের ইবাদতের চেয়েও বেশি ভারি হতে পারে।
এই রাত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে একটি পূর্ণ সূরা নাজিল হয়েছে। পবিত্র কোরআনে এ সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আমি আল-কোরআন নাজিল করেছি কদরের রাতে। আপনি কি জানেন, কদরের রাত কী? কদরের রাত হাজার মাসের চেয়েও উত্তম।’ (সূরা কদর, আয়াত : ১-৩)
তাফসিরের বিভিন্ন গ্রন্থে সুরা কদরের শানেনুজুল বা প্রেক্ষাপট নিয়ে কয়েকটি বর্ণনা পাওয়া যায়। প্রসিদ্ধ বর্ণনা হলো—
একবার নবী করিম (সা.) সাহাবিদের বনি ইসরাঈলের এক বুজুর্গের কাহিনি শোনালেন। যে বুজুর্গ একটানা ৮৪ বছর অথবা হাজার মাস পর্যন্ত আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করেন। এই কাহিনি শুনে সাহাবিরা বিস্ময় বোধ করলেন এবং আফসোস করেন। তাঁরা বলেন, আগের উম্মতরা দীর্ঘদিন বেঁচে থেকে আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগি করে নেকির পাহাড় অর্জন করত, কিন্তু আমরা তো অল্প দিন আয়ু লাভ করি। সত্যিই আমরা হতভাগ্য। তাদের অনুশোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ তাআলা এই সূরা নাজিল করেন।
আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘তোমাদের হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম লাইলাতুল কদর দান করেছি। এই এক রাতে ইবাদত করলে পূর্বকালের দীর্ঘ ইবাদতের চেয়েও বেশি পূণ্য অর্জন করা যায়।’ (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৮/৪৪২-৪৪৩, সূরা কদর)
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: