ইহুদিরা অন্যের সাহায্য ছাড়া অচল
প্রকাশিত:
৯ এপ্রিল ২০২৫ ১১:০০
আপডেট:
১৩ এপ্রিল ২০২৫ ০৬:৫২

ইহুদিরা অভিশপ্ত জাতি। এদের ইতিহাস মোটেই সুবিধার নয়। ব্যাপক পাপাচার, নবীদের হত্যা ও আল্লাহর প্রেরিত ধর্ম গ্রহণে মানুষ বাঁধা দেওয়াসহ নানারকম জঘন্য অপরাধে লিপ্ত থাকত তারা। আল্লাহ তাআলার অসংখ্য নেয়ামত ভোগ করার পরও তাদের মধ্যে শুকরিয়ার বালাই ছিল না, বরং তারা ছিল অস্বীকারকারী, পাপী ও অহংকারী। শেষ পর্যান্ত অবাধ্য জাতী হিসেবেই তারা নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং গ্লানি, লাঞ্ছনা ও অপমানজনক জীবনকেই বেছে নিয়েছে। এটি তাদের ওপর আল্লাহ তাআলার একটি বিশেষ শাস্তি।
আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন- ضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الذِّلَّةُ أَيْنَ مَا ثُقِفُوا إِلَّا بِحَبْلٍ مِّنَ اللَّهِ وَحَبْلٍ مِّنَ النَّاسِ وَبَاءُوا بِغَضَبٍ مِّنَ اللَّهِ وَضُرِبَتْ عَلَيْهِمُ الْمَسْكَنَةُ ۚ ذَٰلِكَ بِأَنَّهُمْ كَانُوا يَكْفُرُونَ بِآيَاتِ اللَّهِ وَيَقْتُلُونَ الْأَنبِيَاءَ بِغَيْرِ حَقٍّ ۚ ذَٰلِكَ بِمَا عَصَوا وَّكَانُوا يَعْتَدُونَ ‘তারা যেখানেই থাকুক না কেন, তাদের ওপর নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে লাঞ্ছনা, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো প্রতিশ্রুতি এবং মানুষের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি থাকলে আলাদা কথা। আর তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে গজব নিয়ে ফিরে এসেছে। আর তাদের ওপর দারিদ্র্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তা এ কারণে যে, তারা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করত এবং নবীদেরকে অন্যায়ভাবে হত্যা করত। তা এ জন্য যে, তারা নাফরমানি করেছে, আর তারা সীমালঙ্ঘন করত।’ (সুরা আলে ইমরান: ১১২)
অর্থাৎ আল্লাহর অনুকম্পা ও মানুষের আশ্রয় ছাড়া যেখানেই তারা অবস্থান করুক, সেখানেই তারা লাঞ্ছনার উপযুক্ত, তারা আল্লাহর গজবে পরিবেষ্টিত এবং তাদের ওপর পতিত হয়েছে দারিদ্রের কশাঘাত। এটা এজন্য যে, তারা আল্লাহর অবাধ্যতা এবং সীমালঙ্ঘন করত।
আয়াতটির তাফসিরে দেখা যায়- ইহুদিদের সাথে লাঞ্ছনা ও অপমান লেগেই থাকবে। তবে তাদের পক্ষে দুই উপায়ে এ লাঞ্ছনা থেকে বেঁচে থাকা সম্ভব হয়। ১. আল্লাহর অঙ্গীকার। ২. অন্যের সাথে সন্ধিচুক্তির কারণে।
বর্তমান ইহুদিদের অবস্থা যে হুবহু তা-ই, তা কারো অজানা নয়। ইহুদিরাষ্ট্র ইসরাইল প্রকৃতপক্ষে খৃস্টানদের মদদপুষ্ট। এরা যা কিছু শক্তিমত্তা দেখায়, সবই অপরের কৃপায়। আমেরিকা, বৃটেন, রাশিয়া ইত্যাদি বড় শক্তিগুলো এর থেকে সাহায্যের হাত গুটিয়ে নিলে তারা একদিনও স্বীয় অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে না (ইনশাআল্লাহ)। (তাফসিরে মারেফুল কোরআন, দ্বিতীয় খন্ড)
মূলকথা, ইহুদিদের বাহ্যিকভাবে শক্তিশালী ও সম্পদশালী মনে হলেও আসলে তারা এর কিছুই নয়। উল্লেখিত দুই কারণেই তারা যা খুশি তা করে যাচ্ছে। কোনো কারণে তারা এ দুই বিষয় থেকে বিচ্যুত হলেই ধ্বংস হয়ে যাবে।
ভবিষ্যতেও তাদের লাঞ্ছনা ও দারিদ্র্য থেকে মুক্তির এ দুটি উপায়ই বাকি থাকবে। হয় তারা ইসলাম গ্রহণ করবে অথবা ইসলামি দেশে কর বা ট্যাক্স দিয়ে আশ্রিত হয়ে থাকাটাই পছন্দ করবে। অথবা কারো ব্যক্তিগত সহায়তা বা বড় কোনো শক্তির সহায়তা নিয়েই তাদের বাঁচতে হবে।
এই অসম্মান ও লাঞ্ছনাই তাদের পরম পাওয়া। এর বাইরে তাদের কোনো অধিকার, শক্তি বা সামর্থ্য নেই, থাকবেও না।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: