বৃহঃস্পতিবার, ১৩ই মার্চ ২০২৫, ২৯শে ফাল্গুন ১৪৩১


রোজা পরিত্যাগের শাস্তি


প্রকাশিত:
১৮ এপ্রিল ২০২১ ১৬:৪৭

আপডেট:
১৩ মার্চ ২০২৫ ১১:২৩

ছবি: সংগৃহীত

রমজান মাস আরবি মাসগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ। এই মাসের দিনগুলো অন্য দিনের চেয়ে উত্তম ও বরকতময়। এ মাসে পৃথিবীর সেরা ও নির্ভুল গ্রন্থ কুরআনুল কারিম অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ বলেন, ‘রমজান মাস, এ মাসেই নাজিল করা হয়েছে কোরআন। মানুষের জন্য হেদায়েত, সৎপথের সুস্পষ্ট নিদর্শন এবং হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী। অতএব, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোজা পালন করে। তবে কেউ রোগাক্রান্ত হলে অথবা সফরে থাকলে এ সংখ্যা অন্য সময়ে পূরণ করবে।’(সুরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৫)

মুসলমান, বালেগ, সুস্থ এবং বাড়িতে অবস্থানকারীর ওপর রমজান মাসের রোজা ফরজ। ইসলামে গ্রহণযোগ্য প্রয়োজন ছাড়া রোজা ছেড়ে দেওয়া অন্যায়। হাদিসে এসেছে, আবু উমামা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘একদিন আমি স্বপ্নে দেখলাম, একটি সম্প্রদায় উল্টোভাবে ঝুলছে! তাদের গলা ফাড়া। গলা থেকে রক্ত ঝরছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, এরা কারা? বলা হলো, এরা সেই সব ব্যক্তি, যারা বিনা কারণে রমজান মাসের রোজা ভঙ্গ করেছিল।’ (সহিহ ইবনে খুজাইমা)

রোজা আল্লাহর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। রমজানে ভেঙে ফেলা রোজার বিনিময় কোনোভাবেই দেওয়া সম্ভব নয়। একটি রোজার পরিবর্তে সারা জীবন রোজা আদায় করলেও যথেষ্ট হবে না। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, ‘যে ব্যক্তি প্রয়োজন ও রোগ ছাড়া রমজানের একটি রোজা ভেঙে ফেলল, তার সারা জীবনের রোজা দ্বারাও এই কাজা আদায় হবে না, যদিও সে সারা জীবন রোজা পালন করে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৮১১)

তবে কারণবশত কারো রোজা ছুটে গেলে পরবর্তী সময়ে কাজা আদায় করবে। আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমার ওপর রমজানের রোজা কাজা হয়ে যেত, তা পরবর্তী শাবান ছাড়া আদায় করতে পারতাম না।’ ইয়াহইয়া (রা.) বলেন, ‘নবী (সা.)-এর ব্যস্ততার কারণে কিংবা নবী (সা.)-এর সঙ্গে ব্যস্ততার কারণে (তিনি শাবান ছাড়া রোজা রাখতে সুযোগ পেতেন না)।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৫০)


সম্পর্কিত বিষয়:

রমজান

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top