সরকারি নির্দেশনা না মানলে আইনগত ব্যবস্থা
ঘরে পড়তে হবে তারাবির নামাজ
প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২০ ১৭:৪৯
আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২০ ২৩:০৮

করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি মোকাবিলায় পবিত্র রমজানের তারাবির নামাজ মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরে পড়ার আহ্বান জানিয়েছে সরকার। অন্যথায় স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
শুক্রবার সকালে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (প্রশাসন) দেলোয়ারা বেগম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করােনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম জনসাধারণকে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে গত ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নতুন এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে এশার জামায়াতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খতিব, খাদিম ও ২ জন হাফেজসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এশার জামায়াত শেষে এ ১২ জনই মসজিদে তারাবিহর নামাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবিহ নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে তিলাওয়াত, জিকির ও দোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।
এর আগে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত ফরজ নামাজ, জুমা, জামাত, শবে বরাতের নফল নামাজ এবাদত ইত্যাদি মসজিদের পরিবর্তে মুসল্লিদের ঘরে আদায়ের নির্দেশনা দেয় ধর্ম মন্ত্রণালয়। এ সময় ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ পাঁচজন দিয়ে মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আর ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ সর্বোচ্চ ১০ জনের উপস্থিতিতে জুমার নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম ও দুজন হাফেজসহ মোট ১২ জনের উপস্থিতিতে মসজিদে, বাকি মুসল্লিদের নিজ নিজ ঘরে রমজানে এশা ও তারাবির নামাজ আদায়ের নির্দেশনা দিল সরকার।
সম্পর্কিত বিষয়:
নামাজ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: