বৃহঃস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪, ১৪ই চৈত্র ১৪৩০

Rupali Bank


করোনা ভাইরাসে বিশ্ব শেয়ারবাজারে বড় ধরনের ধস


প্রকাশিত:
১০ মার্চ ২০২০ ১৯:০৪

আপডেট:
১০ মার্চ ২০২০ ২২:০১

ফাইল ছবি

সময় নিউজ: করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বাংলাদেশসহ বিশ্ব শেয়ারবাজারে বড় রকমের ধস দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ থেকে অস্ট্রেলিয়া- প্রতিটি অঞ্চলের শেয়ারবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে।  অর্থনীতিবিদরা এই ধসকে অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

এশিয়া এবং ইউরোপের শেয়ারবাজারেও দেখা গেছে একই পরিস্থিতি। কেউ কেউ শেয়ারবাজারে যা ঘটছে তাকে ‘রক্তগঙ্গা’ বয়ে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছেন। ২০০৯ সালে বিশ্বজুড়ে যে আর্থিক সংকট দেখা গিয়েছিল, তারপর এ রকম বিপর্যয় আর শেয়ারবাজারে দেখা যায়নি বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে দাম পড়ে যায় প্রায় সাত শতাংশ। এই বিরাট ধসের পর স্বয়ংক্রিয়ভাবেই সেখানে শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বড় ধসের পর ওয়াল স্ট্রিটের শেয়ারবাজারে লেনদেন বন্ধ রাখা হয় কিছুক্ষণের জন্য। অস্ট্রেলিয়া থেকে শুরু করে এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার সব বড় বড় স্টক এক্সচেঞ্জে সারাদিন ধরে একের পর এক ধস নেমেছে।

ইউরোপের পর যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ারবাজারে যখন লেনদেন শুরু হয়, সেখানেও দেখা যায় একই চিত্র। যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি বড় সূচকে বিরাট ধস নামে। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের অর্থনৈতিক সংবাদদাতা অ্যান্ড্রু ওয়াকার বলছেন, এই অস্থিরতার পেছনে আছে করোনাভাইরাস।

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি যে পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, তার বিরূপ প্রভাব পড়ছে অর্থনীতি আর ব্যবসা-বাণিজ্যে। তেলের চাহিদা ব্যাপকভাবে কমে গেছে। তেল রফতানিকারক দেশগুলো তেলের দাম স্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ওপেক চাইছিল তেলের উৎপাদন কমিয়ে দাম ঠিক রাখতে। কিন্তু রাশিয়া, যারা ওপেকের সদস্য নয়, তারা রাজি হয়নি।

জাপান : এদিকে করোনাঝড় ও বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় জাপানের পুঁজিবাজার টালমাটাল। একদিনে জাপানের নিক্কেই সূচক কমেছে ১০৫০ পয়েন্ট বা ৫.০৭ শতাংশ। নিক্কেই সূচক গত ১৪ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে।

ভারতের পুঁজিবাজার : সোমবার সকাল থেকে ভারতের বাজার আরও ভয়ানক হয়ে ওঠে। দিনের শুরুতেই এক ধাক্কায় ১৫০০ পয়েন্ট নেমে যায় সেনসেক্স। তারপর থেকে পতন অব্যাহত থাকে। একটা সময় ২৩০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। ২০১০-এর পর এক দিনে সবচেয়ে বড় পতন এটি।

পাকিস্তান : গতকাল পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জের কেএসই-১০০ সূচকটি ২১০৬ পয়েন্ট কমে যায়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৪৫ মিনিটের জন্য লেনদেন বন্ধ রাখা হয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top