শুক্রবার, ১৪ই মার্চ ২০২৫, ৩০শে ফাল্গুন ১৪৩১


এমবাপের গোলের পরও মাদ্রিদ ডার্বি জেতা হলো না রিয়ালের


প্রকাশিত:
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১১:২০

আপডেট:
১৪ মার্চ ২০২৫ ১২:৩৬

ছবি সংগৃহীত

নগর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে শনিবার লা লিগার ম্যাচে হার এড়ালো রিয়াল মাদ্রিদ। জুলিয়ান আলভারেজের গোলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করে তাদের পয়েন্ট এনে দেন। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে।

এই ড্রয়ে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে রিয়াল শীর্ষে। তাদেরকে টপকে যাওয়ার সুযোগ হারানো অ্যাটলেটিকো (৪৯) এক পয়েন্ট পেছনে থেকে দুইয়ে। দুই দলের সঙ্গে ব্যবধান ঘুচানোর লক্ষ্যে রবিবার সেভিয়ার মাঠে নামবে বার্সেলোনা।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যু স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ে প্রথম ৪৫ মিনিট দাপট দেখায় অ্যাটলেটিকো। ৩৫তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন আলভারেজ। বক্সের মধ্যে স্যামুয়েল লিনোকে ফাউল করেন অরেলিয়েন শুয়োমেনি। ভিএআর দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

বিরতির পর গর্জে ওঠে রিয়াল। ৫০তম মিনিটে ফিরে আসা শট জালে পাঠান এমবাপ্পে। আরও কয়েকটি গোল করতে পারতো তারা। কিন্তু দারুণ সব সেভে রিয়ালকে হতাশ করেন জ্যান ওবলাক।

দারুণ ফর্ম নিয়ে বার্নাব্যুতে পা রাখে রিয়াল। সব প্রতিযোগিতা মিলে আগের ২১ ম্যাচে ১৯টি জিতেছে তারা। ২৩ ম্যাচে মাত্র ১৫ বার জালে বল ঢুকতে দেওয়া অ্যাটলেটিকো ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের মধ্যে যে সেরা ডিফেন্স নিয়ে আছে, তা আবার প্রমাণ করেছে।

রবিন লে নরমান্দেকে নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ম্যাচে পায়নি অ্যাটলেটিকো। তবুও রক্ষণে অপ্রতিরোধ্য দেয়াল গড়ে তোলে তারা। রিয়ালের শক্তিশালী আক্রমণভাগকে প্রথমার্ধে একটিও সুযোগ নিতে দেয়নি তারা।

উইঙ্গার লিনো ও ফরোয়ার্ড আলভারেজ বাঁ দিক দিয়ে বেশ কয়েকবার রিয়ালের রক্ষণভাগের পরীক্ষা নেন। ইনজুরিতে রিয়াল তাদের শীর্ষ সারির চার ডিফেন্ডারকে না পেয়ে বেশ ভুগেছে। লুকাস ভাসকেজ ও শুয়োমেনিকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে।

২৫তম মিনিটে অ্যাটলেটিকোর খেলোয়াড়রা রেফারির কাছে দানি কেবায়োসের বিরুদ্ধে পাবলো বারিওসকে খোঁচানোর অভিযোগ করে। লাল কার্ডের দাবি তারা তুললেও হলুদ কা্ড দেন সিজার সোতো গ্রাদো।

পাঁচ মিনিট পর অ্যাটলেটিকোর আরেকটি অভিযোগ আমলে নেন রেফারি। কাউন্টার অ্যাটাক থেকে বল বক্সে ঢোকার পর লিনোকে পা দিয়ে ফাউল করেন শুয়োমেনি। প্রথমে রেফারি ফাউল ধরতে না পারলেও ভিএআর রিভিউ দেখে পেনাল্টির নির্দেশ দেন।

ঠাণ্ডা মাথায় আলভারেজ গোলপোস্টের মাঝখান দিয়ে বল মারেন। থিবো কোর্তোয়া ডাইভ দিয়েই ভুল করেন। সহজেই বল জড়ালো জালে। নিস্তব্ধ বার্নাব্যুর দর্শকরা।

লিনো ও আলভারেজ দারুণ কয়েকটি সুযোগ নষ্ট করায় ব্যবধান বাড়াতে পারেনি অ্যাটলেটিকো। বিরতির পর রিয়াল ঘুরে দাঁড়ায়। ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ও রদ্রিগো দুই পাশ থেকে আক্রমণের পসরা সাজান।

দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে সমতায় ফেরে রিয়াল। ডান উইং দিয়ে দুজনকে কাটিয়ে ক্রস দেন রদ্রিগো। জুড বেলিংহ্যাম প্রথম ছোঁয়াতে লক্ষ্যে শট নেন, গিমেনেজ ব্লক করলেও ফিরতি শটে এমবাপ্পে জাল কাঁপান।

তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো রিয়াল। কিন্তু ওবলাক খুব কাছ থেকে ভিনিসিয়ুস, রদ্রিগো, এমবাপ্পে ও বেলিংহ্যামকে ঠেকিয়ে হতাশ করেন। একবার তো বেলিংহ্যামের শট ক্রসবারে আঘাত করে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top