‘ভারতের বি দলকে হারাতেও কষ্ট হবে পাকিস্তানের’
প্রকাশিত:
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৪:৪৯
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০০:১১

দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী, ক্রিকেটের মহারণে দুই পরাশক্তি। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হয় ভারত-পাকিস্তান। অসহায় আত্মসমর্পণ বলতে যা বোঝায়, এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে পাকিস্তান দলের পারফরম্যান্স হচ্ছে তেমনটাই। নিউজিল্যান্ডের পর ভারতের কাছেও বিধ্বস্ত মোহাম্মদ রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল। দুই ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ নিশ্চিত হয় আয়োজকদের।
অতীতের পাকিস্তান দল যে রকম আগ্রাসী ক্রিকেট খেলত, রিজওয়ানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান পাকিস্তান দল তার ধারেকাছেও আসে না বলে মত প্রকাশ করেন সানি। একই সঙ্গে রিজওয়ানদের কুঁকড়ে থাকা মানসিকতার খোলাখুলি সমালোচনা করেন সুনীল গাভাস্কার। তাঁর দাবি, ভারতের বি-টিমকে হারানোও মুশকিল হবে পাকিস্তানের এই দলটার পক্ষে।
স্পোর্টস টুডেকে গাভাস্কার বলেন, ‘আমি মনে করি (ভারতের) বি টিমকে নিশ্চিতভাবেই হারানো কঠিন হবে এই দলটার পক্ষে। সি টিমকে নিয়ে ততটা নিশ্চিত নই, তবে পাকিস্তানের বর্তমান ফর্মের দিকে তাকালে বি টিমের সঙ্গে টক্কর দেওয়া সহজ হবে না।’
এবছর আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক দল হওয়ায় পাকিস্তানকে নিয়ে আশায় বুক বাঁধে সমর্থকরা। ঘরের মাঠে ক্রিকেট খেললে প্রথম সারির দেশগুলি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিষয়ে ফেভারিট বিবেচিত হয়। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরর পাঁচ দিনের মাথায় পাকিস্তানের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
নিজেদের দুইটি ম্যাচেই প্রতিপক্ষ শিবিরে পালটা লড়াই ফিরিয়ে দিতে পারেনি পাকিস্তান। সব দেখে শুনে গাভাস্কার বলেন, ‘রিজওয়ান ক্রিজে এসে প্রথম বলেই চার মারে। তৎক্ষণাৎ আমার মনে হয় যে, পাকিস্তান হয়ত মনোভাব বদলেছে। কেননা তখনও পর্যন্ত শুধু চারপাশে ঠুক ঠুকে নকিং চোখে পড়ছিল। তবে পরক্ষণেই বোঝা যায়, কিছুই বদলায়নি। ওরা সেটা বুঝে ওঠার আগেই ভারতের স্পিনাররা দ্রুত নিজেদের ওভার শেষ করছিল। এটা দেখে অবাক লাগছিল যে, কোনও কিছুই নিজেদের অনুকূলে টানতে পারেনি পাকিস্তান।’
শেষে পাকিস্তানের বেঞ্চ স্ট্রেনথ নিয়েও নিজের মতামত প্রকাশ করেন ভারতের সাবেক এই ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের বেঞ্চ স্ট্রেনথ নেই দেখে অবাক লাগছে। পাকিস্তানে বরাবর ন্যাচারাল ট্যালেন্ট চোখে পড়ে। ন্যাচারাল এই কারণে যে, হয়তো টেকনিক্যালি সঠিক নয়, তবে এমন খেলোয়াড় দেখা যায়, যাদের ব্যাটে-বলে সহজাত একটা বোধ-বুদ্ধি থাকে। উদাহরণ হিসেবে ইনজামাম উল হককে দেখো। যদি ওর স্টান্স দেখো, নিশ্চিত কোনও উঠতি ক্রিকেটারকেই সেটা অনুসরণ করতে বলবে না। তবে ওর ধৈর্য্য অসীম। সেটা দিয়েই ও নিজের টেকনিক্যাল খামতি ঢেকে দিত। এটা হতাশার যে পাকিস্তান আর সেরকম প্রতিভার হদিশ দিতে পারেনি।’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: