বিশ্ব জুনিয়র টেনিসের কোয়ার্টারে বাংলাদেশ, দেশে নিষিদ্ধ হলেন হানিফ
প্রকাশিত:
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৩:০৪
আপডেট:
১৫ মার্চ ২০২৫ ০০:১৭

বাহরাইনে চলছে বিশ্ব জুনিয়র টেনিস অ-১৪ টুর্নামেন্ট (এশিয়ান বাছাই)। এই টুর্নামেন্ট বাংলাদেশ গতকাল সৌদি আরবকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে। ওয়ার্ল্ড জুনিয়র টুর্নামেন্টে বাংলাদেশে এবারই প্রথম শেষ আটে খেলছে।
বাহরাইনে বাংলাদেশ অ-১৪ দলে রয়েছেন কাব্য গায়েন, আকাশ হোসেন ও রাকিন রহমান। দলটির অধিনায়ক মাকসুদুল করিম খান। গতকাল টুর্নামেন্টের চতুর্থ শীর্ষ বাছাই সৌদি আরবের সঙ্গে এককে জেতেন কাব্য গায়েন। আকাশ হোসেন অবশ্য এককে হারেন। কাব্য ও আকাশ দ্বৈত প্রতিযোগিতায় সৌদি আরবের জুটিকে হারানোয় ২-১ সেট পয়েন্টে বাংলাদেশ জিতে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে। অ-১৪ আইটিএফ টুর্নামেন্টে এটি বাংলাদেশের অন্যতম সেরা অর্জন।
কাব্য গায়েন বাংলাদেশের টেনিসের নতুন তারকা। বিকেএসপির এই শিক্ষার্থী বয়স ভিত্তিক জাতীয় পর্যায়ে একাধিকবার সেরা হয়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জুনিয়র পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন। সেখানেও সাফল্যের স্বাক্ষর রাখছেন।
এদিকে ঢাকায় চলছে জাতীয় টেনিস প্রতিযোগিতা। গতকাল পুরুষ একক কোয়ার্টার ফাইনাল ছিল হানিফ মুন্না ও দীপু লালের মধ্যে। ঐ ম্যাচে হানিফ মুন্না চেয়ার আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অমান্য, ম্যাচ রেফারীর সঙ্গে তর্ক এবং রেফারীর সিদ্ধান্ত অমান্যের পাশাপাশি প্রতিপক্ষ দীপু লালের সঙ্গে গালাগাল এবং শারীরিকভাবে আঘাত করতে উদ্যত হন।
সংশ্লিষ্ট সকলে হানিফের বিপক্ষে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করলে তাকে টেনিস ফেডারেশনের সভাপতির নির্দেশক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত টেনিসের সকল কর্মকান্ড থেকে ও টেনিস কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে প্রবেশ স্থগিতাদেশের চিঠি দিয়েছেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ কারেন।
হানিফ মুন্না বাংলাদেশ টেনিস দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তার আচার-আচরণের সমস্যর জন্য বিগত কমিটিও অনেক বার সতর্ক-শোকজ করেছে। শৃঙ্খলাজনিত কারনে তাকে ডেভিস কাপ দলে না পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছিল। পারফরম্যান্স ভালো হওয়ায় গণমাধ্যমের চাপ ছিল হানিফ মুন্নাকে দলে নেয়ার জন্য। এর পাশাপাশি পরবর্তীতে হানিফ মুন্না সিলেকশন কমিটির প্রধানকে (খালেদ সালাহউদ্দিন) ফেডারেশনের একটি কক্ষে আটকে রাখলে তৎকালীন ফেডারেশনের কমিটি তাকে দলে নিতে বাধ্য হয়।
সেই আচার-আচরণের জন্য হানিফ মুন্না এবার টেনিস থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বহিষ্কারাদেশে পড়লেন। বড় শাস্তি দিলেও ফেডারেশন গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ের পাশে থাকছে,‘ ভালো খেলোয়াড়ের পাশাাপশি একজন খেলোয়াড়কে সুশৃঙ্খলও হতে হবে। আচরণ এবং মানসিকতায় পরিবর্তনের জন্য তাকে একজন মনোবিদ দেখানোর পরিকল্পনা রয়েছে ’ বলেন সাধারণ সম্পাদক কারেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: