কোহলির আউট দেখে হার্টঅ্যাটাকের গুঞ্জন, যা বলছে কিশোরীর পরিবার
প্রকাশিত:
১২ মার্চ ২০২৫ ১৪:৩১
আপডেট:
১২ মার্চ ২০২৫ ২১:২৫

ঘরের মাঠে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হৃদয় ভেঙেছিল ভারতীয় সমর্থকদের। যে আক্ষেপ তারা মেটায় মাস ছয়েক পরই, ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। পরবর্তীতে ওয়ানডে ফরম্যাটের আরেকটি মেগা প্রতিযোগিতা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভারত সম্প্রতি শিরোপা জিতেছে। কিন্তু সেই ফাইনালের রাতেই উত্তর প্রদেশের একটি পরিবারে নেমে এসেছিল শোকাবহ ট্র্যাজেডি, অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর মৃত্যু হয় সেদিন। পরে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, বিরাট কোহলির আউট সইতে না পেরেই হার্টঅ্যাটাক হয় তার।
গত ৯ মার্চ দুবাইয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত ও নিউজিল্যান্ড। যেখানে আগে ব্যাট করতে নামা কিউইরা ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ার পর টেনেটুনে আড়াইশ পেরোয়। কিন্তু যথেষ্ট ছিল না সেই পুঁজি। ভারত জিতলেও শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটিতে ব্যাট হাসেনি ফর্মে থাকা কোহলির। অভিজ্ঞ এই তারকা আউট হয়ে যান মাত্র ১ রানে। তার আউট দেখে আকস্মিকভাবে প্রিয়ানশি নামের ১৪ বছরের এক কিশোরী মারা গেছে বলে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। তবে সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে তার পরিবার।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮–কে প্রিয়ানশির বাবা অজয় পান্ডে জানিয়েছেন, তিনি সেই সময় (মেয়ের হার্টঅ্যাটাক) ঘরের বাইরে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস দেখেই বাজারে চলে যান তিনি। এরপরই বাড়ি থেকে কল আসে প্রিয়ানশি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে তার মেয়েকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এই ঘটনার সঙ্গে কোহলির আউটের কোনো সম্পর্ক নেই।
প্রিয়ানশির মৃত্যুতে খুব দ্রুত প্রথম গুঞ্জনটিই ছড়িয়েছে। এমনকি স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যমেও তার প্রতিবেশীদের বরাতে বলা হচ্ছিল, কোহলির আউট দেখে মানসিকভাবে আঘাত পায় সেই কিশোরী। তবে তার পরিবার সেটিকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের দাবি– যখন ওই ট্র্যাজেডি ঘটে, তখন ভারত ভালোই খেলছিল এবং কোহলি তখনও ব্যাট করতে ক্রিজেই আসেননি।
প্রসঙ্গত, কিউইদের রান তাড়ায় বেশ ভালোই শুরু করেছিল ভারত। দুই ওপেনার মিলে ১৮.৪ ওভারেই ১০৫ রান তোলে। এরপর শুভমান গিল আউট হন ব্যক্তিগত ৩১ রানে। মাত্র ১ রানের ব্যবধানেই মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে এলবিডব্লু আউট হয়ে যান কোহলিও। এরপর ভারত পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলেছে ঠিক, একইসঙ্গে টাইট বোলিংয়ে তাদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের পরীক্ষায় নেয় নিউজিল্যান্ড। তবে রোহিত শর্মার ৭৬, শ্রেয়াশ আইয়ারের ৪৮ ও একাধিক ক্যামিওতে ৪ উইকেট হাতে রেখে ভারত জয়ের বন্দরে পৌঁঁছে যায়।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: