হামজার খেলা দেখতে মুখিয়ে ভারতীয় দর্শকরা
প্রকাশিত:
২৪ মার্চ ২০২৫ ১৬:৩৭
আপডেট:
২৬ মার্চ ২০২৫ ০৩:১৮

লাল-সবুজের জার্সিতে আগামীকাল ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে হামজা চৌধুরী। দেশের ফুটবলে হামজার অন্তর্ভুক্তি দর্শকদের মনে নতুন আশার সঞ্চার করেছে। তাই ম্যাচটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে কোটি ফুটবল ভক্ত। শুধু দেশের ভক্তরা মুখিয়ে আছেন তা নয়, ভারতীয়রাও হামজার ফুটবল নৈপুণ্য দেখতে উন্মুখ হয়ে আছেন।
ভারতীয় ফুটবল দলের কোচের কথাতেও সেই ইঙ্গিত মিলেছে। হামজা প্রসঙ্গে ভারতীয় স্প্যানিশ কোচ মানোলো মার্কেজ বলেছেন, ‘আমি মনে করি সে ভালো ফুটবলার। সে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলেছে, এখন তার দল চ্যাম্পিয়নশিপে খেলছে। আমি মনে করি, তার মতো একজন খেলোয়াড়ের জাতীয় দলের হয়ে খেলা এটা কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, এশিয়ার ফুটবলের জন্য ভালো।
আমি যেটা অনুভব করতে পারছি, তার সতীর্থরা তার সঙ্গে খেলতে অনুপ্রেরণা পাবে, মাঠের খেলায় এটার কি প্রভাব পড়বে, তা অবশ্য আমি জানি না।’
এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচটি আগামীকাল মঙ্গলবার, বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জওয়াহেরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটি ঘিরে দুই দেশের দর্শকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেমনটি দেখা যায় বাংলাদেশ-ভারত ক্রিকেট ম্যাচকে ঘিরে।
তবে উত্তেজনাপূর্ণ এই লড়াইয়ে কে শেষ হাসি হাসবে তা দেখার অপেক্ষায় দর্শকরা।
আগামীকালের ম্যাচটি নিয়ে গণমাধ্যমে ভারতীয় কোচ আরো বলেছেন, সব সময় প্রথম ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। আপনি (আগাম) বলতে পারবেন না, ম্যাচটা কেমন হবে। ভালো ম্যাচ হতে পারে, বাজে ম্যাচও হতে পারে। এটি ছোট পরিসরের একটা টুর্নামেন্ট, সেরা দল বাছাইপর্ব পার হবে।
আমরা বাংলাদেশকে হারানোর চেষ্টা করব। মালদ্বীপ, বাংলাদেশ বা অন্য যে দেশের বিপক্ষেই ম্যাচ হোক না কেন, আমাদের মনোভাব একই। দলে কিছু পরিবর্তন এসেছে, কিন্তু খেলার ধরন একই থাকবে।’
সুনীল ছেত্রীর অবসর ভেঙ্গে দলে ফেরার প্রসঙ্গে মানোলো মার্কেজ বলেন, সুনিল ভারতীয় ফুটবলে কিংবদন্তি। দলের সর্বোচ্চ গোলদাতা। আমি তাকে ডেকেছিলাম, কেননা আমরা প্রথম ম্যাচে গোল পাচ্ছিলাম না। বেশি সুযোগও তৈরি করতে পারছিলাম না, যদিও কিছু সুযোগ মিস করেছিলাম। তার ফেরাটা আমাদের জন্য দারুণ বিষয়।
পরিসংখ্যান বলছে, মুখোমুখি সাক্ষাতে ভারত বেশ এগিয়ে। দুই দল এখন পর্যন্ত ৩১ বার মুখোমুখি হয়েছে। এর মধ্যে ভারত জয় পেয়েছে ১৬ বার, বাংলাদেশ জয় পেয়েছে মাত্র ৩ বার, বাকি ১২টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের তিনটি জয়ই এসেছে ২০০৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে। দীর্ঘ ২২ বছরের সেই জয়খরা এবার কাটাতে চায় বাংলাদেশ।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: