ছবি বিভ্রাটে বিব্রত জেবা
প্রকাশিত:
৩০ আগস্ট ২০২৩ ২৩:০৭
আপডেট:
১৩ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৪২

নামের প্রথম অংশ মিল থাকায় আবারও সংবাদের শিরোনামে এসেছেন তরুণ অভিনেত্রী জেবা জান্নাত। প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চলচ্চিত্র নায়িকা হিসেবে পরিচয়দানকারী জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডের পাশাপাশি তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এই খবরে ছোট পর্দার অভিনেত্রী জেবা জান্নাতের ছবি ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করে দেশের বেশ কিছু গণমাধ্যম। বুধবার (৩০ আগস্ট) তার ছবি সংবলিত নিউজটি ছড়িয়ে পড়লে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন এই অভিনেত্রী।
জেবা জান্নাত বলেন, ‘বেশ কিছু গণমাধ্যমে জেবা চৌধুরীর জায়গায় আমার ছবি ব্যবহার করা হয়েছে। ওই নিউজে আমার ছবি দেখে আমি তো আকাশ থেকে পড়েছি। সেটা দেখে আমার পরিচিতজনরা সবাই আমাকে ছবি পাঠাচ্ছে। তারা আমাকে নিয়ে টেনশন করছেন। আমার জন্য এটা সত্যিই বিব্রতকর।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের প্রথম সারির গণমাধ্যম নিউজ করার ক্ষেত্রে ছবির ক্রস চেক করবে না? সামনে যেটা পাবে সেটা নিয়েই নিউজ পাবলিশ করে দেবে? এটা তো ঠিক না। তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত।’
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীন বর্তমানে পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার বাদী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদীর কাছে জেবা চৌধুরী একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) ৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। একটি চুক্তিপত্রের মাধ্যমে ২০২২ সালের ২০ মার্চ জেবা চৌধুরী সব টাকা বুঝে নেন। তবে গাড়ির কাগজপত্র আপডেট না থাকায় গাড়ি হস্তান্তর করেননি। চুক্তিপত্রে বলা হয়েছিল বিআরটিএ থেকে সমস্ত কাগজপত্র ঠিক করে ১৫ দিনের মধ্যে গাড়ি হস্তান্তর করবেন। কিন্তু বাদীর টাকা নিয়ে আসামি আর গাড়ি হস্তান্তর করেননি।
পরে ২০২২ সালের ৮ মে বাদী প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আসামি গ্রেপ্তার হন। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক হন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: