রাজধানীতে স্কুল ছাত্রীসহ দুই জনের মরদেহ উদ্ধার
প্রকাশিত:
১১ নভেম্বর ২০২২ ০৪:০৯
আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০২:৩৭

রাজধানীর পৃথক এলাকা থেকে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- মাইশা আক্তার মমি (১৪) ও সোহেল (৩০)।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে উদ্ধারের পর মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মাইশা আক্তার মমি হাজারীবাগের শেখ রাসেল স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা পেয়ারা বেগম বলেন, গতকাল কাজে যাওয়ার সময় দুই মেয়েকে স্কুলে দিয়ে যাই। বিকেলের দিকে বাসায় ফিরে দেখি ছোট মেয়ে মাদরাসায় পড়তে গেছে। আর বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে রুমে ঢুকে দেখি ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলছে মাইশা।
তিনি আরও বলেন, মাইশার বাবা মকবুল হোসেন গ্রামের বাড়িতে (বগুড়া) থাকেন। আমি দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকি। দুই মেয়ের মধ্যে মাইশা বড়। কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারি না।
এ বিষয়ে কামরাঙ্গীরচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মুহাম্মদ কবিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হাসপাতাল থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করি। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাতেই ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
অন্যদিকে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল মোহাম্মদ খান রোডের একটি বাড়ি উদ্ধার করা হয় সোহেলের মরদেহ। তিনি পেশায় রংমিস্ত্রি ছিলেন। তার বাবা সাবান আলী শেখ ঢাকা জানান, সোহেলের স্ত্রী জহুরা আক্তার সৌদি প্রবাসী। স্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ সাত-আট বছর তার বনিবনা নেই। তবে সম্প্রতি তারা আবার যোগাযোগ শুরু করেন। তাদের কোনো সন্তান ছিল না।
বুধবার রাতে বাড়িওয়ালা ভাড়ার জন্য বাসায় গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। ভেতরে উঁকি দিয়ে দেখেন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে সোহেল।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বুধবার দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, স্ত্রীর ওপর অভিমান করে তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
ঢামেক
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: