মাগুরায় শিশু ধর্ষণের মামলা ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর, অভিযোগ গঠনের শুনানি বুধবার
প্রকাশিত:
২০ এপ্রিল ২০২৫ ১৫:৫৯
আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:২২

মাগুরায় সেই শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আগামী বুধবার অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ রোববার সকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এ আদেশ দেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আগামী বুধবার মামলার চার্জ গঠনের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। এরপর দ্রুততম সময়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের মাধ্যমে বিচারকাজ ত্বরান্বিত করা হবে।’
১৩ এপ্রিল রাতে মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন। অভিযোগপত্রে শিশুটির বোনের শ্বশুরকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯/২ ধারায় ধর্ষণের ফলে মৃত্যুর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়। শিশুটির বোনের স্বামী ও ভাশুরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন (দণ্ডবিধির ৫০৬ ধারা) এবং বোনের শাশুড়ির বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত নষ্টের (দণ্ডবিধির ২০১ ধারা) অভিযোগ করা হয়।
এর আগে ৭ এপ্রিল ডিএনএ প্রতিবেদনে শিশু ধর্ষণের মামলায় মূল অভিযুক্তের (বোনের শ্বশুর) সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ মিলেছে বলে সংবাদমাধ্যমকে জানান পুলিশের খুলনা রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. রেজাউল হক। তার আগে একাই শিশুটিকে ধর্ষণ করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন শিশুটির বোনের শ্বশুর। জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছিলেন, ৬ মার্চ সকালে তাঁর ছোট ছেলের (বোনের স্বামী) কক্ষে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা চালান তিনি।
মামলার তদন্ত–সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, আসামির জবানবন্দির সঙ্গে মামলার বাদী শিশুটির মায়ের এজাহারের অমিল আছে। বাদী বলেছিলেন, ঘটনা ঘটেছে রাতে। শিশুটির বোনের স্বামী ঘরের দরজা খুলে দেওয়ার পর তাঁর বাবা শিশুটিকে ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।
১ মার্চ শিশুটি নিজ বাড়ি থেকে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায়। ৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। ১৩ মার্চ দুপুরে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়। ওই দিন সন্ধ্যায় শিশুটির মরদেহ হেলিকপ্টারে মাগুরায় নেওয়া হয়। প্রথম জানাজা শেষে উত্তেজিত জনতা শিশুটির বোনের শ্বশুরবাড়িতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।
এর আগে ৮ মার্চ মাগুরা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগে মামলা করেন শিশুটির মা। মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে আসামি করা হয়। বর্তমানে আসামিরা কারাগারে আছেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: