মঙ্গলবার, ১৯শে আগস্ট ২০২৫, ৪ঠা ভাদ্র ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ, দুর্ঘটনার শীর্ষে ঢাকা


প্রকাশিত:
১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০১

আপডেট:
১৯ আগস্ট ২০২৫ ১৯:১৭

ছবি ‍সংগৃহিত

গত জুলাই মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৮ জন, আহত হয়েছেন আরও ৮৫৬ জন। মোট দুর্ঘটনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৪৩টিতে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণ ঝরেছে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়- ১০৯ জন, যা মোট নিহতের ২৬.০৮%।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৭২ জন (১৭.২২%) এবং শিশু ৫৩ জন (১২.৬৭%)। যানবাহনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সর্বাধিক প্রাণহানি হলেও থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৮ জন (২৫.৮৪%), বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪১ জন এবং ট্রাক-পিকআপ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৩০ জনের।

সময়ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে (২৯.৫৭%), এরপর দুপুরে (২১.৮৯%) এবং রাতে (১৫.৩৪%)।

অঞ্চলভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে- ১১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৫ জন। এককভাবে ঢাকা জেলাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি, প্রাণহানি হয়েছে ৩৪ জনের। রাজধানীতে ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণসমূহ হলো: ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ২. ত্রুটিপূর্ণ সড়ক, ৩. বেপরোয়া গতি, ৪. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা ৫. বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, ৬. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, ৭. তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ৮. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, ৯. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ১০. বিআরটিএ-র সক্ষমতার ঘাটতি এবং ১১. গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সুপারিশ

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেছে। এগুলো হলো-

১. দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;

২. চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;

৩. বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;

৪. পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;

৫. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে;

৬. পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;

৭. গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;

৮. রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে;

৯. টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;

১০. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।

এসএন/রুপা


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top