অটোরিকশা নিয়ে বের হয়েছিল রাকিব, নিখোঁজের তিন দিন পর মিলল লাশ
প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০২৫ ১৯:৫৬
আপডেট:
২১ আগস্ট ২০২৫ ২২:২৫

ঠাকুরগাঁওয়ে নিখোঁজের তিন দিন পর আখক্ষেত থেকে মোহাম্মদ রাকিব (১৫) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) দুপুরে সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিহরপুর এলাকা থেকে মরদেটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন- হরিনারায়ণপুর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে মাহাবুব (৩২) ও মদন আলীর ছেলে আব্দুল কুদ্দুস (৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সরোয়ারে আলম খান।
নিহত রাকিব ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের হরিনারায়ণপুর আদর্শ পাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় জানায়, হরিনারায়ণপুর আদর্শপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে প্রতিবেশী সুজনের বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে ভাড়া চালানোর জন্য বের হয়। প্রতিদিনের ন্যায় রাত ৮টার দিকে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন রাকিবকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার বাবা রফিকুল ইসলাম খবর পান- তার ছেলে দিন বিকেল ৬টার দিকে রুহুল নামে এক ব্যক্তিকে জেলা সদরের স্টেশন রোড থেকে ভগতগাজীতে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর কিশোর রাকিব ও যাত্রী রুহুলকে আটক করে রাখে এলাকাবাসী। পরে রুহুলকে না ছাড়লেও রাকিবকে তারা ছেড়ে দেয়। তারপরও রাকিব বাড়ি যায়নি।
পরদিন ১৯ আগস্ট সকালে খবর পাওয়া যায় রাকিবের চালানো অটোরিকশাটি হরিহরপুর ময়দানে পড়ে আছে। পরে রাকিবের বাবা ও অটোরিকশা মালিক সুজন আলী স্থানীয়দের নিয়ে অটোরিকশাটি উদ্ধার করে।
তবে পরিবারের অভিযোগ, রুহুলসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে যোগসাজশ করে রাকিবকে কৌশলে অটোরিকশাসহ অপহরণ করে এবং তাকে অজ্ঞাত স্থানে আটক করে অটোরিকশা ও ব্যাটারি বাঁশঝাড়ে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনার পর আজ তার মরদেহ আখক্ষেত্রে পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় রাকিবের বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় সদর থানায় একটি মামলা করেন। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুইজনকে আটক করে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সরোয়ারে আলম খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। এটি প্রাথমিকভাবে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে কিশোরের পরিবার থানায় অপহরণ মামলা করে। এখন এটি হত্যা মামলা হবে।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: