বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


আগামী বাজেটে করের বিষয়গুলো ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে


প্রকাশিত:
২১ জানুয়ারী ২০২৫ ১৫:২১

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ১৯:২০

ছবি সংগৃহীত

আগামী বাজেটে মূল করের বিষয়গুলো ভালোভাবে সমন্বয় করা হবে উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন পণ্যের ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে তা কিছুদিন পরে জানা যাবে।

খোলা বাজারে খাদ্যশস্য বিক্রয় বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ওটা (ওএমএস) দিয়ে দ্রব্যমূল্য ইয়ে (নিয়ন্ত্রণ) করা যাবে না। এগুলোতে এতো ভর্তুকি দেওয়া হয়, ভালো লোকও লাইনে দাঁড়ায়।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ওএমএস এর বিষয়টা আপনারা জানেন আমরা খুব ইমারজেন্সি বেসিসে করেছিলাম। ওটার জন্য স্পেশাল টাকাও দেওয়া হয়েছে। ওটা সাকসেসফুলি ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং নারায়গঞ্জে প্রায় ৮ লাখের বেশি লোক ওএমএসের কাভারেজ পেয়েছে। আপাতত ডিসেম্বরে এটা আমরা স্থগিত করলাম। কারণ বাজার মোটামুটি স্থিতিশীলতায় এসেছে। আর ভবিষ্যতে যদি আবার ইমারজেন্সি হয় তখন দেখা যাবে।

মানুষ এমনিতেই মূল্যস্ফীতির চাপে রয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বিশেষ ওএমএস বন্ধ করা হলো। আপনাদের বিকল্প কোনো পরিকল্পনা আছে কি? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আপাতত এটা নিয়ে পরিকল্পনা নেই। আমরা দেখি, যদি অব্যাহতভাবে চলে তখন হয়তো অল্টারনেটিভ আমরা আবার শুরু করতে পারি।

এখনো সাপ্লাই চেন ব্রোকারের হাতে উল্লেখ করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, চাল মোকামে থাকে, মোকাম থেকে আনে না। ওগুলো তো ঠিক সাপ্লাইয়ের স্বল্পতা না। সাপ্লাই স্বল্পতা, এটা সাপ্লাই চেন যারা ম্যানুপুলেট করছে খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা, সেটা একটা কিছু ইস্যু। চালের দাম কিছুদিন আগে কিছুটা কমেছে। অন্যগুলো মোটামুটি সহনীয় রয়েছে।

বৈঠকে ইউরিয়া সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সারের মজুদ যদি সরকারের না থাকে, তখন বেসরকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। সার কেনার বিষয়ে আমরা আজকে অনুমোদন দিয়েছি। আর পল্লি বিদ্যুতের কিছু বিষয় ছিল, আমরা অনুমোদন দিয়েছি।

গত বছরের ১৫ অক্টোবর কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এই বিশেষ ওএমএস চালু করেছিল সরকার। ৮ লাখের বেশি মানুষ এই কার্যক্রমের সরাসরি সুবিধাভোগী ছিলেন। বিশেষ ওএমএসের কৃষি পণ্যগুলোর মধ্যে ছিল ৩০ টাকা দরে পাঁচ কেজি আলু, ১৩০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৭০ টাকায় এক কেজি পেঁয়াজ, এক পিস লাউ ৫০ টাকা।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top