যে শর্তে অক্ষয়ের সঙ্গে বিয়েতে রাজি হয়েছিলেন টুইঙ্কল খান্নার মা
প্রকাশিত:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৩:৫১
আপডেট:
১৮ আগস্ট ২০২৫ ১৬:১৭
বলিউডের যে দম্পতিগুলোকে আইকনিক ভাবা হয় তার মধ্যে অন্যতম অক্ষয়-টুইঙ্কল। পর্দায় খুব একটা দেখা না গেলেও বাস্তবজীবনে এক ছাদের নিচে দীর্ঘদিন তারা। রসায়নও দারুণ তাদের। ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারী টুইঙ্কলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধেন অক্ষয়।
২৩ বছরের সুখের সংসার বলিউড তারকা দম্পতির। তবে বিয়ের আগে অভিনেত্রীকে শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন খিলাড়ি খ্যাত অভিনেতা। অক্ষয়ের কাছেও এসেছিল পাল্টা শর্ত। সেই শর্ত দিয়েছিলেন টুইঙ্কলের মা ডিম্পল কাপাডিয়া। টুইঙ্কলকে বিয়ের আগে অক্ষয়কে নানা ডাক্তারি পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হয়েছিল। নাহলে বিয়ে ভেঙে যেত।
সে সময় অক্ষয়ের শাশুড়ি বলেছিলেন, অক্ষয় যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ না থাকেন, তাহলে মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবেন না। সেই শর্তেও জিতে যান অক্ষয়। ডাক্তারি পরীক্ষায় সম্পূর্ণ পাশ করেন। তারপরই মেয়ে টুইঙ্কলের সঙ্গে তাঁর ধুমধাম করে বিয়ে দেন ডিম্পল।
অভিনয়কে অনেক আগেই বিদায় জানিয়েছেন টুইঙ্কল খান্না। তবে এখনও অভিনয় করে যাচ্ছেন খিলাড়ি। তবে লক্ষণীয় অক্ষয়ের কোনো সিনেমার প্রিমিয়ারে দেখা যায় না টুইঙ্কলকে। এ প্রসঙ্গে খিলাড়ি জানন, টুইঙ্কল স্পষ্টবাদী। মনে যা মুখে সেটি বলতে দ্বিধা করেন না। উচিত কথায় ছাড় পান না অক্ষয়ও। এ কারণেই তাকে দেখা যায় না স্বামীর ছবির প্রিমিয়ারে।
অক্ষয় বলেন, ‘টুইঙ্কলকে আমার ছবির প্রিমিয়ারে নিয়ে গেলে স্বভাবতই আমার পাশে ও বসবে। এরপরই শুরু হবে খেল্। সিনেমা চলাকালীন সারাটা সময় আমার কাছে বলবে, এই দৃশ্যটা ফালতু, ওই দৃশ্যতে বেশি চড়া অভিনয়ে করেছ। অমুক ব্যাপারটা অত্যন্ত বাড়াবাড়ি, তমুক দৃশ্যটা এক্কেবারে ফালতু...মানে এটা চলতেই থাকে। বুঝতে পারছেন তো?’
এরপর টুইঙ্কলকে নিয়ে এরকম এক অভিজ্ঞতা ভাগ করেন অক্ষয়। তিনি বলেন, ‘একবার আমার একটি ছবি দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলাম টুইঙ্কলকে। ওখানে সেই ছবির প্রযোজকও হাজির ছিলেন। ছবি শেষ হবার পর সেই প্রযোজক যখন টুইঙ্কেলকে জিজ্ঞেস করলেন যে তার কেমন লাগল সেই ছবি, জবাবে ও জানিয়েছিল পুরো ফালতু ছবি।’
হাসতে হাসতে অক্ষয় বলে ওঠেন, ‘এরপর আর কোনোদিনও সেই প্রযোজক তার কোনো ছবিতে আমাকে নেননি!’
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: