শুক্রবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ

সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার


প্রকাশিত:
১৯ মে ২০২৪ ১৩:৪২

আপডেট:
২৫ এপ্রিল ২০২৫ ০৩:০৯

ফাইল ছবি

সিঙ্গাপুরে ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস। নতুন করে ছড়িয়ে পড়া কোভিড-১৯ এর এই ঢেউয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে প্রায় সপ্তাহখানেকের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২৬ হাজার মানুষ।

পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশটিতে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শনিবার (১৮ মে) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। গত ৫ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ। এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং শনিবার দেশের সবাইকে আবার মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে সিঙ্গাপুরে করোনার সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ওং ইয়ে কুং বলেছেন, ‘আমরা সংক্রমণের শুরুর দিকে রয়েছি, এখন এটি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। এই ভাবে চললে আর ২ থেকে ৪ সপ্তাহের মধ্যেই এটা শীর্ষে পৌঁছাবে। অর্থাৎ জুনের মাঝামাঝি থেকে শেষদিকে।’

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৫ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ হাজার ৯০০ জনেরও বেশি মানুষ। এর আগের সপ্তাহে সংক্রমিত হয়েছিলেন ১৩ হাজার ৭০০ জন।

এই পরিস্থিতিতে চারটি বিষয় খেয়াল রাখতে বলা হয়েছে সকলকে। প্রথমত, বার বার হাত ধোয়ার মতো সতর্কতা অবলম্বন করা। দ্বিতীয়ত, ভিড় এলাকায় গেলে, বিশেষত যদি সংক্রমিত হওয়ার লক্ষণ থাকলে মাস্ক পরা। তৃতীয়ত, অসুস্থতা থাকলে সামাজিক মেলামেশা বন্ধ রাখা এবং চতুর্থত, করোনাভাইরাস টিকা নেওয়া।

এদিকে কোভিডে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই তাদের বাড়িতে থাকলেও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সংখ্যাও বাড়ছে। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন যেখানে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৮১ জন, সেখানে এবার তা বেড়ে হয়েছে ২৫০। যদিও তাদের মধ্যে আইসিইউতে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৩ জন। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ২।

সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, হাসপাতালের শয্যা সক্ষমতা বজায় রাখার জন্য সরকারি হাসপাতালগুলোকে জরুরি নয় এমন অস্ত্রোপচার কমাতে বলা হয়েছে এবং উপযুক্ত রোগীদের ট্রানজিশনাল কেয়ার সুবিধাগুলোতে বা মোবাইল ইনপেশেন্ট কেয়ার অ্যাট হোমের মাধ্যমে বাড়িতে থাকতে বলা হয়েছে।

ওং বলেন, ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সের ব্যক্তি, চিকিৎসাগতভাবে দুর্বল ব্যক্তি এবং বৃদ্ধাশ্রমের বাসিন্দা-সহ যারা গুরুতর রোগের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন তাদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top