প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামীমার তিন বছরের কারাদণ্ড
প্রকাশিত:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৫:৩৬
আপডেট:
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৭:০৬

অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল এবং প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ (বৃহস্পতিবার) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এইচ এম রুহুল আমিন মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আসামিরা প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের বিশ্বাস ভঙ্গ করেছেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। আদালত আজ তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন। এ রায়ের ফলে ভুক্তভোগীদের মধ্যে কিছুটা হলেও ন্যায়বিচারের অনুভূতি ফিরে আসবে। তবে এই রায় যথেষ্ট নয়।
অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মো. আবুল কালাম আজাদ নামে এক ভুক্তভোগী ২০২৩ সালের ৭ ডিসেম্বর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগ তদন্ত করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপ-পুলিশ পরিদর্শক বাসুদেব সরকার পরের বছরের ২৭ মার্চ তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। পরে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠন করেন আদালত। তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার উদ্দেশ্যে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি কোম্পানি তৈরি করে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করেছেন। সুপরিকল্পিতভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে গ্রাহকদেরকে আকৃষ্ট করেন। বিভিন্ন সময়ে কোম্পানিটি তাদের ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে বিভিন্ন পণ্যের অফার দেয়। কোম্পানির এই বিজ্ঞাপন দেখে বাদী ১১টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ২৩ লাখ টাকা প্রদান করেন। ইভ্যালির কোম্পানি থেকে ৭-৩০ দিনের মধ্যে পণ্য সরবরাহ করার কথা থাকলেও তারা পণ্য সরবরাহ না করে উল্টো ছলচাতুরির আশ্রয় নিয়ে বাদীকে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে অপরাধমূলক বিশ্বাস ভঙ্গ করে টাকা আত্মসাত করেন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: