মা দিবস যেভাবে এলো
প্রকাশিত:
১১ মে ২০২৫ ১২:২২
আপডেট:
১২ মে ২০২৫ ০৫:০৫

আজ ১১ মে রবিবার বিশ্ব মা দিবস। আজ একটি বিশেষ দিন। যা পৃথিবীর সব মায়ের প্রতি ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের প্রতীক। প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী পালিত হয় মা দিবস। বাংলাদেশেও দিনটি এখন যথেষ্ট গুরুত্ব ও আবেগ নিয়ে উদযাপন করা হয়।
মায়ের ভালোবাসা: নিঃস্বার্থ ও চিরন্তন
মা শব্দটি এক অদ্ভুত অনুভূতির নাম। মায়ের ভালোবাসা পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ সম্পর্ক। সন্তান জন্মের আগে থেকে শুরু করে বড় হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে মা থাকেন ছায়ার মতো। নিজের ইচ্ছা, আরাম, স্বপ্ন সব কিছু ত্যাগ করে মা সন্তানকে গড়ে তোলেন।
মা শুধু একটি সম্পর্ক নয়, এটি একজন নারীর আত্মত্যাগ, ধৈর্য, নিঃস্বার্থ সেবা ও নিঃশর্ত ভালোবাসার অবিচল প্রতীক। তাই মা দিবসে শুধু একটি কার্ড বা উপহার নয়, প্রয়োজন সত্যিকারের সময়, সম্মান এবং কৃতজ্ঞতা।
ইতিহাসে মা দিবসের সূচনা
মা দিবস প্রথম উদযাপন করা হয় যুক্তরাষ্ট্রে, ১৯০৮ সালে। আনা জার্ভিস নামে এক নারী তার মায়ের স্মৃতিতে এই দিনটি পালন শুরু করেন। পরে ১৯১৪ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মে মাসের দ্বিতীয় রবিবারকে জাতীয় মা দিবস হিসেবে ঘোষণা দেন। এরপর বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে এই উদযাপন।
বাংলাদেশে মা দিবস
বাংলাদেশে মা দিবস পালনের প্রচলন তুলনামূলক নতুন হলেও এখন শহর থেকে গ্রাম—সবখানেই দিনটি উদযাপিত হচ্ছে। বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইন মাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলো আয়োজন করেছে মা-বিষয়ক আলোচনা সভা, কবিতা পাঠ, গান ও নাটক।
সন্তানের দায়িত্ব
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মা দিবস শুধু একটি আনুষ্ঠানিকতা নয় বরং সন্তানদের দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার একটি দিন। আজকের দিনে যদি কেউ নিজের মায়ের হাতে এক কাপ চা তুলে দেন, পাশে বসে কিছুক্ষণ গল্প করেন, তবে সেটিই হবে মায়ের জন্য সবচেয়ে বড় উপহার।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: