বুধবার, ৭ই মে ২০২৫, ২৩শে বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর অনেক বড় অবদান রয়েছে : ওবায়দুল কাদের


প্রকাশিত:
২৬ নভেম্বর ২০২২ ২৩:৫৬

আপডেট:
৭ মে ২০২৫ ০৫:৪৬

ছবি সংগৃহিত

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে শেখ হাসিনার অনেক বড় অবদান রয়েছে। আর সেই অবদানের কারণ তার এ অঞ্চলের প্রতি একটা মায়াবী টান রয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সমাপ্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কাদের বলেন, এখানে অনেক কিছুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছি। নেত্রী উদ্বোধন করেছেন। চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর একটা মায়াবী টান রয়েছে। চট্টগ্রাম ব্যাপারে এম এ আজিজ, মহিউদ্দিন আহমেদ তারা ছিলেন, তাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর একটা ভালো সম্পর্ক ছিল।

তিনি বলেন, মহিউদ্দিন ভাই আমাদের মাঝে নাই। ওনাকে দেখতে পেলে ভালো লাগতো।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক পদ্মাসেতু থেকে সরে গেছে। এখন তারাই বলে বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণে একটা আশ্চর্যজনক উদাহরণ। তারা বিশ্বকে উন্নয়নে চমকে দিয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। আজকে দক্ষিণ এশিয়ার নদীর তলদেশে এটাই প্রথম সেতু। সেই টানেল হচ্ছে। এটা হবে চীনের সাংহাইয়ের মত। ওয়ান সিটু টু টাউনের আদলে। এপারেও থাকবে একটা টাউন ওপারেও থাকবে আর একটা টাউন। দুই পাড়েই দুই টাউন। এটা একটা আমি সাংহাইয়ে দেখি এসেছি। কী অপূর্ব সুন্দর!

তিনি বলেন, এটার দুটি টিউব। আনোয়ার থেকে চট্টগ্রাম শহরের এই প্রান্তের কাজ শেষ হয়েছে। যেটা চট্টগ্রাম শহর থেকে ওই প্রান্তে আনোয়ারাতে যাবে সেটাও শেষের পথে। আনুষঙ্গিক কিছু কাজ, নিরাপত্তাজনিত ব্যবস্থাপনা বাকি রয়েছে। সবমিলিয়ে আশা করি পদ্মা সেতুর পর ঐতিহাসিক এই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্ণফুলী টানেলের উদ্বোদন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামবাসীর সৌভাগ্য। চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল হবে। ফিজিবিলিটি টেস্ট হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম যে ফোর লেন রয়েছে এই ফোর লেইনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অচিরেই দুটি সার্ভিস পাস করেছি। এটা ছিল না। এখন আমরা কাজ শুরু করছি।

তিনি বলেন, এরপর হচ্ছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও মাতারবাড়ি। আমি জাপানিজ অ্যাম্বাসেডরকে বলেছি। আমাদের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি সেখানে গিয়েছিলেন। আমি আশা করছি জাইকা অচিরেই চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে প্রয়োজনীয় ফান্ডিং দেবে, এটা আমরা আশা করে আছি। চট্টগ্রামে কিছু বাকি নাই। কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছেন।

কাদের বলেন, আপনারা অনেককিছু পেয়েছেন। মেট্রোরেল হলে তো হয়েই যাবে। পাহাড়ে আজকে আমাদের সীমান্ত সেনা রয়েছে। তারা লড়ছে। ১৪ বছর আগের পাহাড় আর এখন ২০২২ সালের পাহাড়, তার মধ্যে চট্টগ্রাম, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি কোনো কিছুই চেনা যায় না।

তিনি বলেন, আজকে সারা দেশ সত্যিকার অর্থে উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। সজীব ওয়াজেদ জয়ের সহযোগিতায় আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। আমাদের আগামী দিনের লক্ষ্য স্মার্ট বাংলাদেশ। নেক্সট টার্গেট, নেক্সট ডেস্টিনেশন স্মার্ট বাংলাদেশ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করবো, এবার ইলেকশন ম্যানুফেস্টিতে স্মার্ট বাংলাদেশ রাখার কথা বলবো।

এসময় সম্প্রতি ১০০ সেতুর উদ্বোধনের কথা বলেন, সেখানে চট্টগ্রামে ৪৫টি সেতু রয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী তাকে পাশ থেকে জানিয়ে দেন। খাগড়াছড়িতে ৪২টি সেতু রয়েছে। এগুলো সব তিনি উদ্বোধন করেছেন।


সম্পর্কিত বিষয়:

মায়াবী টান

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top