‘স্বাধীনতার পর এবারই রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মজুত রয়েছে’
প্রকাশিত:
২৩ আগস্ট ২০২৫ ১৮:২১
আপডেট:
২৩ আগস্ট ২০২৫ ২২:১৬
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশে খাদ্যের কোনো ঘাটতি নেই। স্বাধীনতার পর এবারই দেশে প্রথমবারের মতো রেকর্ড ধান-চাল মজুত রয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন খাদ্য গুদামে ২২ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল মজুত রয়েছে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।
শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে শেরপুর জেলা সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মো. আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, যেকোনো দুর্যোগকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলা, বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ কৃষকরা যাতে ন্যায্যমূল্য পায়, সেজন্য সরকার প্রতিবছর খাদ্য মজুত রাখে। গত ১৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ শুরু হয়েছে, যা চলবে ছয় মাসব্যাপী। সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৫ লাখ কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছেন। শেরপুরে কার্ডধারীর সংখ্যা বাড়ানোর প্রয়োজন হলে জেলা প্রশাসক মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন পাঠালে, আমরা তা বাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।
মহাপরিচালক আরও বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর ডিলার পরিবর্তনের জন্য সার্কুলার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কিছু কিছু জায়গায় মামলা জটিলতায় স্থগিতাদেশের কারণে ডিলার পরিবর্তন করা যায়নি। আশা করছি, মামলা শেষ হওয়ার পর দ্রুতই সেগুলোও পরিবর্তন করা হবে।
তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, সরকার চায় প্রান্তিক জনসাধারণ যাতে সঠিকভাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধাগুলো পায়। এজন্য আপনাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোন ভুলত্রুটি বা অসংগতি পেলে সেগুলো তুলে ধরবেন।
জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ময়মনসিংহের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আশরাফুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোসা. হাফিজা জেসমিন, শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. নাজমুল হক ভূঁইয়াসহ শেরপুরের পাঁচ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খাদ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএন/রুপা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: