যেসব কারণে পদ হারাচ্ছেন মুরাদ হাসান
প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:৫৭
আপডেট:
৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০০:৩৩

সোশ্যাল মিডিয়ায় অসৌজন্যমূলক বক্তব্য, একের পর এক বিতর্কিত ও বেসামাল মন্তব্যের কারণে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (৬, ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর নিজ বাসভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানান।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কুরুচিকর মন্তব্যের কারণে রোষানলে পড়েন ডা. মুরাদ। কিছুদিন আগে ফেসবুক লাইভে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন ও বর্ণবাদী বক্তব্য দেন মুরাদ। যার বেশিরভাগই প্রকাশযোগ্য নয়। তবে সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমার মুখ ভীষণ খারাপ।’ যা নিয়ে দেশজুড়ে সব মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
এরই মধ্যে নেট মাধ্যমে একটি টেলিফোন আলাপ ছড়িয়ে পড়ে। তাতে একজন চিত্রনায়িকাকে নানা অশোভন কথাবার্তা ও হুমকি দিতে শোনা যায় এক ব্যক্তিকে। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ শুনে তাকে ডা. মুরাদ হাসান বলে মনে করছেন অনেকে।
গত শনিবার এক টিভি টকশো’তে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়াকে ‘মানসিক রোগে আক্রান্ত’ এবং তার ‘চিকিৎসা দরকার’ বলে মন্তব্য করেন মুরাদ হাসান। এতে দুজনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া বাধে।
এইসব ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উত্তাল অফলাইন-অনলাইন। এজন্য তথ্য প্রতিমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়ার পরামর্শ দেন নারী অধিকারকর্মী, বিএনপি থেকে শুরু করে সরকারদলীয় প্রভাবশালী অনেক নেতা। তবে তাতে কর্ণপাত করেননি তিনি। এমনকি অভিযোগ অস্বীকার করেন ডা. মুরাদ। যার খেসারত গুনতে হচ্ছে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: