বাংলাদেশ ঋণের ‘২৬০ কোটি টাকা’ ফেরত দেয়নি, দাবি করল পাকিস্তান
প্রকাশিত:
১২ আগস্ট ২০২৫ ১৭:১৪
আপডেট:
১২ আগস্ট ২০২৫ ২২:২৮

পাঁচটি দেশকে ঋণ হিসেবে দেওয়া ৩০৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার আদায় করতে হিমশিম খাচ্ছে পাকিস্তান। দেশটির সরকারি অডিটে বেরিয়ে এসেছে এমন তথ্য। এ পাঁচ দেশের মধ্যে বাংলাদেশও রয়েছে।
পাক সংবাদমাধ্যম সামা টিভি মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে বলেছে, সরকরি অডিটে দেখা গেছে পাঁচটি দেশের কাছ কয়েক দশক পুরোনো ঋণের অর্থ আদায় করতে পারছে না পাকিস্তান।
কয়েক দফা কূটনৈতিক এবং আনুষ্ঠানিক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও গত ৪০ বছর ধরে এসব ঋণ অমিমাংসিত হয়ে আছে।
অডিটের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তানের থেকে ঋণ নিয়ে এখনো ফেরত দেয়নি শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, ইরাক, সুদান এবং গিনি বিসাউ। ১৯৮০ ও ৯০ সালের দিকে রপ্তানি ঋণের মাধ্যমে এসব অর্থ দেওয়া হয়েছিল।
এরমধ্যে শুধু ইরাকের কাছ থেকে ২৩১ দশমিক ৩ মিলিয়ন, সুদানের কাছে ৪৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন, বাংলাদেশ থেকে ২১ দশমিক ৪ মিলিয়ন এবং গিনি-বিসাউয়ের কাছে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে বলে অডিটে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
পাকিস্তানের এ অডিটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশকে চিনি কারখানা ও সিমেন্টের প্রজেক্টের জন্য এ অর্থ দেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে ডলারের হিসেবে এটি ২৬০ কোটি টাকারও বেশি।
সামা টিভি জানিয়েছে, ২০০৬-০৭ সালে সর্বপ্রথম এ বিষয়টি সামনে এনেছিল অডিটর জেনারেল অফিস। কিন্তু এসব অর্থ আদায়ে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে এসব অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছে। ঋণ নেওয়া দেশগুলোর কাছে বিভিন্ন পত্র পাঠানো হয়েছে, কিন্তু এতে কাজ হয়নি।
সূত্র: সামা টিভি
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: