ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে জাহাজ বন্দরে ভিড়তে দেবে না তুরস্ক
প্রকাশিত:
২১ আগস্ট ২০২৫ ১৮:৫১
আপডেট:
২১ আগস্ট ২০২৫ ২১:৩২

তুরস্কের বন্দর কর্তৃপক্ষগুলো শিপিং এজেন্টগুলোকে তাদের জাহাজগুলোর সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই এবং সেগুলোতে করে দেশটিতে সামরিক বা বিপজ্জনক পন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না— এমন ঘোষণা দিয়ে চিঠি দিতে অনানুষ্ঠানিকভাবে নির্দেশ দিয়েছে। গাজায় ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) জাহাজ চলাচলের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই সূত্রের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, বন্দর মাস্টারের অফিস থেকে বন্দর এজেন্টদের লিখিত নিশ্চয়তা দেওয়ার জন্য মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো সরকারী বিজ্ঞাপ্তি দেওয়া হয়নি।
একটি সূত্র জানিয়েছে, তুরস্কের প্রায় সব বন্দরেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দ্বিতীয় সূত্রটি বলছে, নিশ্চিয়তা পত্রে উল্লেখ থাকতে হবে যে জাহাজের মালিক, ব্যবস্থাপক ও পরিচালনা কোম্পানির সঙ্গে ইসরায়েলের কোনো সম্পর্ক নেই এবং জাহাজে ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিস্ফোরক, তেজস্ক্রিয় পদার্থ অথবা সামরিক সরঞ্জাম তোলা হয়নি।
তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের বার্ষিক ৭০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য ছিল, তবে গাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে গত বছর দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক সর্ম্পক ছিন্ন করেছে রিসেপ তায়েফ এরদোয়ানের সরকার।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশ অনুসারে, কিছু দেশ গাজায় গণহত্যা সনদের লঙ্ঘন ঠেকাতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর অংশ হিসেবে মালয়েশিয়াসহ বেশ কিছু দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জাহাজকে তাদের বন্দরে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি মাসেও ইসরায়েলের জন্য অস্ত্র পরিবহনের অভিযোগে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় কোম্পানির একটি জাহাজ আটকে দিয়েছে ইতালির জেনোয়া বন্দরের কর্মীরা।
এসএন /সীমা
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: