হাদিকে নয়, তার আদর্শকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে : ঢাবি ভিসি
প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:০০
আপডেট:
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৯:৪৯
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা শহীদ শরিফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি একটি আদর্শকে থামিয়ে দেওয়ার পরিকল্পিত অপচেষ্টা বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। তিনি বলেন, হাদিকে নয়, তার আদর্শ, বিশ্বাস ও সংগ্রামকেই হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরে শহীদ ওসমান হাদির দাফন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন ঢাবি উপাচার্য।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, শরীফ ওসমান হাদি একটি ব্যক্তির নাম নয়, এটি একটি আদর্শের নাম। এই আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়বে এবং কোনো হত্যাকাণ্ড দিয়ে একে থামিয়ে দেওয়া যাবে না।
তিনি বলেন, এই হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ অপরাধ নয়। এটি ন্যায়, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদার পক্ষে দাঁড়ানো একটি কণ্ঠকে স্তব্ধ করার চেষ্টা।
হাদি হত্যার ঘটনায় দেশবাসীর মধ্যে যে ক্ষোভ ও শোক তৈরি হয়েছে, সেটিকে ন্যায়বিচারের দাবিতে রূপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, সারা দেশের মানুষ এই হত্যার পূর্ণাঙ্গ বিচার দেখতে চায়।
‘আমরাও জোর দিয়ে বলছি– এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করতে হবে,’ বলেন নিয়াজ আহমেদ খান।
তিনি জানান, সরকারিভাবে তদন্ত ও আইনি প্রক্রিয়া এগোচ্ছে এবং ইতোমধ্যে কিছু অগ্রগতিও দৃশ্যমান। তবে কেবল গ্রেপ্তার নয়, দৃষ্টান্তমূলক রায়ই এই ঘটনার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে পারে বলে মন্তব্য করেন ঢাবি ভিসি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান প্রসঙ্গে ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সবসময় ন্যায় ও গণমানুষের পক্ষে ছিল। শহীদ হাদিকে এই প্রাঙ্গণে দাফনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় কেবল একজন মানুষকে নয়, একটি আদর্শকে সম্মান জানিয়েছে। এটি সারা দেশবাসীর পক্ষ থেকেই একটি সম্মাননা।’
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালের পর আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের অংশ হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে হাদির আত্মত্যাগ ও আদর্শকে স্মরণীয় করে রাখবে।
উপাচার্য আরও বলেন, হাদি হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ন্যায় প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম থেমে থাকবে না। ‘এই হত্যাকাণ্ড আমাদের আরও দায়বদ্ধ করেছে– একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই অব্যাহত রাখতে,’ বলেন তিনি।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: