বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর কোথায় ছিল মানবাধিকার, প্রশ্ন লিটনের
প্রকাশিত:
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৫:৩৩
আপডেট:
২ মে ২০২৫ ০৫:১২

বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই অনেকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন খুঁজে পান বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। এর কড়া জবাব দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর মানবাধিকায় কোথায় ছিল? এমন প্রশ্ন রেখেছেন তিনি।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ‘১৯৭১, ’৭৫, সামরিক শাসনামল, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসের ঘটনায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে সচেতন নাগরিক সমাজ ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট। এতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
রাসিক মেয়র বলেন, যারা মানবাধিকারের ব্যবসা করেন তাদের উদ্দেশে প্রশ্ন করতে চাই—১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা, ৭৫ সালে জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা, বিমান বাহিনী ও সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তাকে জিয়াউর রহমান পেছনে থেকে তার লোকদের মাধ্যমে যখন অনেক হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের কিছু হলেই যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন খুঁজে পান, সেই তথাকথিত সুশীল সমাজকে বলতে চাই—মানবাধিকারের কথা আপনাদের মুখে শোভা পায় না। দেশের জন্য ক্ষতিকর কাজগুলোকে আপনারা সমর্থন করেন, আর ভালো কাজ সেগুলোকে সমর্থন করেন না। যখন বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অসংখ্য ঘটনা ঘটে গেছে, সেই সময় আপনাদের আমরা পাশে পাইনি।
তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার দুই কন্যা যখন দেশের বাইরে অনেক কষ্ট নিয়ে, অনেক দুঃখ নিয়ে, অনেক সমস্যা নিয়ে বসবাস করছিলেন, সেই সময় মানবাধিকারের কথা ওঠেনি। জাতির পিতাকে হত্যার পর আওয়ামী লীগকে পাঁটি বছর জিয়াউর রহমান ঘরের মধ্যে বন্দি করে রেখেছিল, আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম-খুন করেছিল। তখন কোথায় ছিল মানবাধিকার?
৩ নভেম্বর বাবা শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামানের হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে আমার ছোট বোনের বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। সে কিছু বুঝত না। সে বাবাকে হারিয়ে একেবারে স্তব্ধ হয়েছিল, সে শুধু তাকিয়ে দেখত বাবা কোথায়, কেন তার বাবা আসছে না। মানবাধিকার নিয়ে যারা কথা বলেন, তখন তাদের আমরা দেখিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, যারা বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থার নামে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন, যারা নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে চান, বিদেশিদের যারা প্রভাবিত করতে চান, দূতাবাসের মাধ্যমে নানা বানোয়াট কথা-বার্তা ও চিঠি দিয়ে বলতে যারা বলতে চান, তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই—আপনারা যদি এটিকে বিরোধী দলকে দমন করা বলেন, তাহলে বিরোধী দল দিনের পর দিন পদযাত্রা, বিভিন্ন এলাকায় সমাবেশ করছে কীভাবে?
মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ভুক্তভোগী ও তাদের স্বজনরা। বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তারানা হালিম।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: