‘সারের দাম বাড়তে থাকলে চাষাবাদ ছেড়ে দিতে হবে’
প্রকাশিত:
২৪ এপ্রিল ২০২৩ ২০:৫৫
আপডেট:
১০ মে ২০২৫ ০৩:৩৯

সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন সারা দেশের কৃষক। তার ব্যতিক্রম নয় পিরোজপুরের কৃষকরাও। সারের দাম বৃদ্ধিতে তাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। ফলে এমন সিদ্ধান্ত কৃষি উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অনেকেই।
স্থানীয় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ডিলার ও কৃষক পর্যায়ে ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপিসহ বিভিন্ন ধরনের সারের দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। দাম বাড়ায় এখন থেকে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম ২২ টাকা থেকে ২৭ টাকা, ডিএপি ১৬ টাকা থেকে বেড়ে ২১ টাকা, এমওপি সারের দাম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে পাঁচ টাকা বেড়ে ডিলার পর্যায়ে প্রতি কেজি ইউরিয়া ও টিএসপির দাম ২৫ টাকা, ডিএপির দাম ১৯ টাকা এবং প্রতি কেজি এমওপির দাম ১৮ টাকা হয়েছে। যা আগে ছিল ইউরিয়া ও টিএসপি ২০ টাকা, ডিএপি ১৪ টাকা এবং এমওপি ১৩ টাকা।
তরমুজ চাষি সাত্তার মোল্লা বলেন, ‘ঢ্যাপ সার, পটাশ, জিপসামসহ বিভিন্ন সার আমরা তরমুজের ক্ষেতে ব্যবহার করে থাকি। এ বছর সারের দাম বাড়ানো হয়েছে। এভাবে যদি সারের দাম বাড়তে থাকে তাহলে আমাদের চাষাবাদ ছেড়ে দিতে হবে। যেখানে ২০ কেজি সার ব্যবহার করতে হবে, দাম বৃদ্ধির কারণে সেখানে ১৫ কেজি সার ব্যবহার করতে হচ্ছে। তাই ঠিকমতো ফসলও হচ্ছে না।’
ভুট্টা চাষি সুধীর চন্দ্র বলেন, বর্তমানে এমনি চাষাবাদের অবস্থা তেমন ভালো না। তার ওপর বেড়েছে সারের দাম। এক একর জমি চাষে অনেক টাকা খরচ হয়। আমরা এমনিতেই ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করি। তারপর ঋণ পরিশোধ করে তেমন কিছুই থাকে না।
আরেক কৃষক শুভ হালদার বলেন, যে সারগুলো আমরা গত বছরেও অল্প দামে কিনেছি সেই সার এ বছর বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। এই সারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের কৃষি কাজ করা কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। অনাবৃষ্টি, খরায় খুব সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া কারেন্ট পোকার উৎপাত তো রয়েছেই।
এ বিষয়ে পিরোজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. নজরুল ইসলাম শিকদার বলেন, সরকার সারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জনগণের সুবিধার্থে ভর্তুকি দিচ্ছে। সেখানে সারে কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়ায় কৃষকের ওপর তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। দাম কেজি প্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে সরকারের ভর্তুকির জায়গাটা কমানো হয়েছে।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: