বৃহঃস্পতিবার, ১লা মে ২০২৫, ১৮ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে পিছু হটার প্রশ্নে যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র


প্রকাশিত:
৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৫৭

আপডেট:
১ মে ২০২৫ ১০:৪৯

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি (ফাইল ছবি)

বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার উত্থাপিত অভিযোগকে ডাহা মিথ্যা বলে আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি বলেছে, পিটার হাসের বিরুদ্ধে রাশিয়ার তোলা অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা এবং রাশিয়া নিজেও এটি জানে।

স্থানীয় সময় বুধবার (৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি একথা জানিয়েছেন।

এদিনের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে নিজেদের অবস্থান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পিছু হটার প্রশ্নও উঠেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী নির্বাচন দেখতে চায়। আর সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে যুক্তরাষ্ট্র তাদের তৎপরতা অব্যাহত রাখবে।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে নিয়ে রাশিয়ার উত্থাপিত অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চান। তিনি বলেন, মস্কো সম্প্রতি বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার জন্য অভিযুক্ত করেছে। আপনি জানেন, রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের (স্টেকহোল্ডার) সাথে অবাধ, সুষ্ঠু, এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবং তিনি বাংলাদেশে তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কারণ বাংলাদেশের শাসকগোষ্ঠীর কাছ থেকে হিংসাত্মক আক্রমণের হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়ান অভিযোগ এবং বাংলাদেশে পিটার হাসের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা সম্পর্কে আপনার প্রতিক্রিয়া কী? আমার আরও একটি ফলোআপ প্রশ্ন আছে।

জবাবে জন কিরবি বলেন, আপনি অবশ্যই আরেকটি প্রশ্ন করতে পারেন। নৌবাহিনীতে কর্মরত থাকার সময় আমি এ ধরনের অভিযোগের কথা শুনলে দুই সিলেবলের একটি শব্দে সেটার উত্তর দিতাম। তবে আপনার প্রশ্নের উত্তরে আমি সেটা বলছি না। আমি আপনাকে এটাই বলবো- বিষয়টি (রাশিয়ার অভিযোগ) ডাহা মিথ্যা। রাশিয়ানরাও জানে, এটা মিথ্যা। এটাকে শুধুই রাশিয়ানদের মিথ্যা প্রচারণা বলা যায়। তারা জানে এটা মিথ্যা।

বাংলাদেশের জনগণের মতো যুক্তরাষ্ট্রও অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন চায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জনগণ যা চায় আমরাও তাই চাই এবং তা হলো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। রাষ্ট্রদূত (পিটার হাস) এবং তার টিম যেভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেইভাবে তারা বাংলাদেশের সুশীল সমাজ, বিরোধীদল, ক্ষমতাসীন সরকারসহ সমাজের সকল স্তরের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবেন। বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান করতে এবং গণতান্ত্রিক প্রত্যাশা পূরণে তাদের কঠোর পরিশ্রম অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশে আমরা সেটাই করে যাচ্ছি।

এরপর পৃথক এক প্রশ্নে ওই সাংবাদিক বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসন্ন নির্বাচনে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন করার জন্য ভারত, চীন এবং রাশিয়া একজোট হয়েছে এবং বিরোধীদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন ও বিরোধীদের জেলে ঢোকানোর মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার আরেকটি একতরফা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাহলে (বাংলাদেশের নির্বাচন প্রশ্নে) আপনি কি আপনার অবস্থান থেকে সরে আসছেন? এর আগে যেমনটা আপনারা বলছেন যে, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ আপনারা নেবেন?

জবাবে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের এই কো-অর্ডিনেটর বলেন, আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে বিশ্বাস করি এবং আমরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ চালিয়ে যাবো।

তিনি আরও বলেন, দেশের বাইরের কোনও নির্বাচনে আরা কারও পক্ষ নিই না এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই নীতির পরিবর্তন হবে না। আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। বাংলাদেশের জনগণের সেই মৌলিক আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করার জন্য আমরা যা করতে পারি সেটাই করবো এবং রাষ্ট্রদূত ও তার দল সেটাই করবে।


সম্পর্কিত বিষয়:

#যুক্তরাষ্ট্র

আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top