বৃহঃস্পতিবার, ২৪শে এপ্রিল ২০২৫, ১১ই বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


ট্রাম্পের কোনো চিঠি আমরা পাইনি: ইরান


প্রকাশিত:
৮ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৯

আপডেট:
২৪ এপ্রিল ২০২৫ ২৩:১৮

ছবি সংগৃহীত

পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে এবার ইরানকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে চিঠির বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি ট্রাম্প এ-ও জানান, যদি ইরান আলোচনায় না বসে তবে ফল খুব খারাপ হবে! তবে, ইরান জানিয়েছে যে তারা এখনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি।

শুক্রবার ইরানি দূতাবাসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, আমরা এখন পর্যন্ত এমন কোনও চিঠি পাইনি। খবর আল-জাজিরার।

ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্ককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, তিনি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলী খামেনিকে চিঠি পাঠিয়েছেন, যেখানে তিনি তেহরানের দ্রুত অগ্রসরমান পারমাণবিক কর্মসূচি রোধে একটি নতুন চুক্তির বিষয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে ওয়াশিংটনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলে ট্রাম্পের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি।

ট্রাম্প আশা করেন, ইরান আলোচনার টেবিলে বসবে। চিঠির কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি আশাবাদী ইরান আলোচনায় রাজি হবে। কারণ সেটা ওদের পক্ষে ভালো।

তবে ইরান যদি তার প্রস্তাব মেনে আলোচনায় না বসে বিকল্প পথের কথা ভাবে, তা মোটেই ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। আমরা কখনোই তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রাখতে দিতে পারি না।

ইরান প্রশাসনের কাকে চিঠি দিয়েছেন ট্রাম্প, তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে মনে করা হচ্ছে সে দেশের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনিকেই চিঠি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও এ ব্যাপারে হোয়াইট হাউস খেন পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি।

এই আবহেই রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ইরানের পরমাণু কর্মসূচির পরিস্থিতি সমাধানের বিষয়ে সে দেশের প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। রাশিয়ার উপ-পররাষ্ট্র মন্ত্রী সের্গেই রিয়াকভের সঙ্গে ইরানের রাষ্ট্রদূত কাসেম জালালির সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

২০১৫ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময় ইরানের সঙ্গে তিন বছরের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি করেছিল ছয় শক্তিধর রাষ্ট্র— ব্রিটেন, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি, চীন এবং আমেরিকা।

‘জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামে পরিচিত ওই চুক্তিতে স্থির হয়, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি বন্ধ রাখলে তেহরানের উপর বসানো বিপুল আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে জাতিসংঘ, আমেরিকা ও অন্য বেশ কিছু দেশ।

যদিও ২০১৮ সালের মে মাসে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি টুইট করে বলা হয়, আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার পরিপন্থী ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি। তাই এই চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।

এর পর জো বাইডেনের জমানায় ইরানের সঙ্গে নতুন করে পরমাণু সমঝোতার পথ খুলেছিল আমেরিকা। ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ইরানের বিরুদ্ধে নতুন করে সুর চড়াতে শুরু করেন।

মাস খানেক আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, যদি ইরান তাকে হত্যার চেষ্টা করে, তা হলে তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। তবে এবার সেই ট্রাম্পকেই আলোচনার প্রস্তাব দিতে শোনা যাচ্ছে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top